নাছির উদ্দীন রাজ, মোঃ শেখ রাসেল
রাত পেরিয়ে সকাল হলেই শুরু হবে হ্নীলা রংগীখালী দারুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসায় পরিক্ষা কেন্দ্রে দাখিল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা।
পরীক্ষার হলে যেতে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দিবেন মা। তারপর ভালোবাসা ও দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন মেয়েকে। এটাই ছিল স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু মরিয়াম আক্তার খানুর ভাগ্যে তা আর হয়নি। সকালের আগেই ভোররাতে পৃথিবী থেকে চিরকালের জন্য পরপারে চলে গেলেন জনম দুঃখিবী মা।সেই মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন উপজেলার হ্নীলা শাহ মজিদিয়া মাদরাসার দাখিল শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার খানু।
বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে। সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হ্নীলা শাহ্ মজিদিয়া মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ প্রকাশ সাহাব উদ্দিনের বোবন ও মৃত হাজী নুরুল ইসলামের মেয়ে।
২২ ফেব্রয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পৌঁছায় মরিয়াম,
এ সময় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে ছুটে আসে। পরীক্ষা দেয়ার সময় বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তবে সহপাঠী ও পরিক্ষা কেন্দ্র নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ছানা উল্লাহ এবং কেন্দ্র সচিবদের সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়।
এ ঘটনায় পরীক্ষা কেন্দ্রে শোকের ছায়া নেমে আসে।
Leave a Reply