 
							
							 
                    
নাছির উদ্দীন রাজ (টেকনাফ৭১)
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ সদস্য শরিফুলইসলাম কক্সবাজার গিয়ে ছিল ডিওটি পালন করতে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যখন অবন্থান করছিল তখন দুপুর ২ টা। এক জৈনক ব্যক্তি তাকে বলে স্যার আমার ছেলে কে প্রতিমাসে রক্ত দিতে হয়, তবে আমি প্রতিমাসে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে দি।কিন্তুু আজ টাকাও নাই কাউকে ও পাচ্ছিনা এক ব্যাগ রক্ত যদি আজকের মধ্য দিতে না পারি তা হলে আমার ৫ বছরের শিশু টি হয়তো পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে। তখন পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম বল্লেন বাবা দাঁড়ান আমি আসি। তখন ঐ জৈনক বড় নিশ্বাস ফেলে আকাশ পানে থাকিয়ে বললেন আল্লাহ আজও কি হবেনা আমার ছেলের জীবন বাঁচানো ? লাগবে ও (O+) রক্ত। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ টেকনাফ মডেল থানার ঐ পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম জৈনক ব্যক্তি ও শিশু বলেন বাবা নাউ (O+)রক্ত, তখন শিশু বলেন স্যার কোথায় পেলেন পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার থেকে দিয়েছি। শিশু ও পিতা দু জনই পুলিশ কে এমন ভবে জড়িয়ে ধরল এবং বল্লেন স্যার কি খবেন বা কি চান, আমাদের কাছথেকে? পুলিশ বল্লেন বাবা, আমার জন্য দোয়া করবেন , মাদক থেকে দুরে থাকবেন, ভাল করে পড়ালিখা করবে ও মা বাবার সেবা করবে।ঐ ব্যক্তিরা তখন দু নয়নে কেঁদে কেঁদে এমন হাসি দিলেন যা মনে হয় পৃথিবীতে নতুন জন্মিয়েছে। তার পর ও নাছুড় বন্দা তারা পুলিশ সদস্য এর জন্য কাচা ডাপ,ডিম, বেলসরবত সহ নানান কিছু নিয়ে আসলেন। পুলিশ সদস্য বলেন এগুলো আমার জন্য খাওয়া কোন দিনই সম্ভব হবেনা, বলে উল্টো তাদের পিতা পুত্র কে খাওয়া দিলেন। রক্ত পাও ঐ শিশু পুলিশ সদস্য কে বল্লেন, স্যার আমি ভবিষ্যতে পুলিশ হবো যেন আমি ও আপনার মত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণকে সেবা করতে পারি। উল্লেখ্য এরকম কিছু কিছু পুলিশ সদস্যের কারণে পুলিশ বাহিনী সমাদৃত হয়ে উঠে সারা বাংলায়।
 
                                         
                                         
                                         
                                        
Leave a Reply