সাইফুউদ্দীন মোঃ মামুন::টেকনাফে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে নিরীহ লোকদের উপর দা-কিরিচ দিয়ে নজিরবিহীন হামলার অভিযোগ উঠেছে। ২১ মার্চ ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। হামলায় আহত হয় হ্নীলা ইউপির অন্তর্গত মিনাবাজারের বাসিন্দা মৃত আবুল খাইরের পুত্র কামাল হোসন, তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৩৫) ও তাদেরই ছেলে ১ম শ্রেণীর ছাত্র বখতিয়ার(৭)। আর হামলাকারীরা হলেন আবু সিদ্দিকের ছেলে মামুন, তারেক, মৌলভী আঃ শুক্কুর ও ওসমান। তাদের মধ্যে তারেক ও মোলভী আঃ শুক্কুর হল পিতাপুত্র। আর তারেকের মা হল মহিলা মেম্বার নাম লালমতি। সূত্রে জানা যায়, আহত ব্যক্তি কামাল হোসনের জিমংখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে বখতিয়ার(৭) আমগাছ থেকে কয়েকটি আম পাড়ে। আম পাড়াকালীন মোঃ ওসমান দেখলে বাচ্চাটিকে মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে বাবা বাধা দিলে বাবাকেসহ উপরোক্ত চারজনে মিলে দা-কিরিচ দিয়ে হামলা চালানোর সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে কক্সবাজার রেফার দেওয়া হলে তারা বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরে সেখানেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওখান থেকে তাদের চট্রগ্রাম রেফার করায় আগামীকাল সকালের দিকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যায়। আহত ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় থানা কর্তৃক চিকিৎসার জন্য বললে তারা চিকিৎসার শরণাপন্ন হন। এমনকি তারা থানার আশ্রয় নেবেন বলে জানায়। এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে স্থানীয় মেম্বার শাহ আলমের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে আহত ব্যক্তিগণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের কাছে নজিরবিহীন ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com