কক্সবাজারের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক মঈনুল হাসান পলাশের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অসৌজন্য মুলক আচরণ ও পেশাগত কাজে বাধা দেয়াসহ সাংবাদিকদের বিষয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে শহরে অঘোষিত লক ডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বের হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একটি বিশাল বহর। একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলেন। গতকাল দুপুর একটার দিকে দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক মঈনুল হাসান পলাশ পরিস্থিতি দেখতে গেলে তার সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন দায়িত্বপালনে সেখানে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঝাউতলার রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের সামনে তাকে মোটরসাইকেল সহ থামানো হয়। তিনি পত্রিকা সম্পাদক পরিচয় দিয়েও রেহাই পাননি। কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিতে বলেন। তাকে ডিসি অফিসে আটক করে নিতে আদেশ দেন। এক পর্যায়ে টিমের সাথে থাকা এক বয়স্ক পুলিশ কনস্টেবল সম্পাদক অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশের দু’হাতে হাতকড়া লাগানোরও আদেশ দেন।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক ও সম্পাদকের পদবী নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন,আপনার মতো সম্পাদক অলিগলিতে আছে।
সাংবাদিকদের বিষয়ে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্যসহ তাকে নানাভাবে হেনস্তা করেন বলে জানা গেছে।
সকলে মারমুখী হয়ে উঠলে সম্পাদক পলাশ তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এবং জানতে চান সাংবাদিকের চলাচলের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কি না?
এর সদুত্তর না দিয়ে, অনুরোধ করলে মোটরসাইকেলের চাবি ফেরত দেবেন বলে জানান ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক মঈনুল হাসানের পলাশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণকারী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার অপসারণ দাবি করা হয়।
এসব বিষয় নিয়ে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরফাত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক মঈনুল হাসান পলাশ কক্সবাজার সিটি কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন এবং ছাত্র জীবনে তিনি কক্সবাজার শহর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
Leave a Reply