মো,আরাফাত সানি,টেকনাফ
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের প্রধান প্রধান সড়কের টেকনাফ বাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে । (৫ এপ্রিল) রবিবার সকাল থেকে করোনা ভাইরাস রোধে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফের প্রধান সড়কের বাজার সমূহে টহলসহ সচেতনতা কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। বাড়িয়েছে বিশেষ বিশেষ স্থানে নজরদারি ।
করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে নিয়োজিত নৌ বাহিনীর লে.কমান্ডার আসাদুজ্জামান ইমরান ও নয়া পাড়া আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে দুইটি টিম এ তৎপরতা অব্যহত রেখেছে। সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে সরকার করোনা বিস্তার রোধে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে যান চলাচলাসহ বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। তবে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চিত্র একটু ভিন্ন। সেখানে ঘনবসতি এবং সচেতনতার অভার রয়েছে বেশ। তাছাড়া ধর্মীয় কুসংস্কার বেশ বড় বাধা এখানে সামাজির দূরত্বসহ অনেক বিষয়ে। তাই ক্যাম্পে র্যাবের টহলের পাশাপাশি আর্মি ও নৌ টহলও বাড়ানো হয়েছে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এসব বাহিনী।
টহল দলের কন্টিজেন্ট কমান্ডার নৌ বাহিনীর লে.কমান্ডার ইমরান বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সরকারি যেসব নির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে সিভিল প্রশাসনের সাথে নিবিড় সমপ্ধসঢ়;র্ক বজায় রেখে সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টেকনাফের হ্নীলা, টেকনাফ ও সাবরাং বাজার, প্রধান সড়কের বাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে করোনা আতংক নয়, সচেতন থাকলেই এর সংক্রমন হতে বাচাঁ যায়। মানুষ যাতে ঘরে থাকে সে-বিষয়ে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘টহল চলে যাওয়ার পর লোকজন ফের ষ্টেশন বাজাওে চলে আসে। এ বিষয়ে টেকনাফের জনগন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে।এদিকে টেকনাফে আরও দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য। রবিবার দুপুরে তাদের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের করোনা টেস্ট ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৬ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে সেগুলো এখনও রির্পোট প্রকাশ করেনি।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, করোনা সন্দেহ ২ জনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। আগের দিন শনিবার আরও ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো এখনও রির্পোট আসেনি। রিপোর্ট হাতে ফেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে করোনা বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন মিলে সীমান্তের প্রত্যাক প্রান্তে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। এই সীমান্তে যেসব লোকজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে তাদের সার্বক্ষনিক
তদারকিও চলছে।
তিনি বলেন, পাশপাশি টেকনাফের বাসিন্দা ঢাকা অবস্থানরত র্যাব সদস্য আক্কাসের করোনা ভাইরাস নেগেটিভ রির্পোট পাওয়া গেছে বলে আইইডিসিআর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফলে দু:চিন্তার কিছু নেই, কিন্তু সবাই ঘরে থাকুন, সর্তক থাকুন।###
Leave a Reply