নাছির উদ্দীন রাজ (টেকনাফ৭১)
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১ঘটিকার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী চিংড়ি ঘের এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পড়ার সুলতান আহমেদ এর ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৬) ও হোয়াইক্যং ঝিমং খালীর জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২৪)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন , রবিবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকার দিকে টেকনাফ থানার সামনে হতে সন্দেহজনক একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসময় চালক মাহমুদ উল্লাহকে আটক করেন পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে রাত ১ঘটিকার সময় উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের জিমংখালী চিংড়ি ঘের সংলগ্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যান পুলিশ।
এসময় ইয়াবা কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ সরকারি সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনাস্থল হতে আরও ১০ হাজার ইয়াবাসহ মোট ১৫ হাজার ইয়াবা, দুটি এলজি, গুলি, খালি খোসা ও একটি মাইক্রোবাসটি (চট্র মেট্রো চ-১১- ৫০৮৯) জব্দ করেন পুলিশ। অভিযান সমাপ্তি করে ফেরার সময় টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে জব্দকৃত মাইক্রোবাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে মাইক্রোবাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে বলছে, সোনালী ব্যাংক টেকনাফ শাখা কর্তৃক কক্সবাজার যাত্রার জন্য মাইক্রোবাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। চালক সেই সুযোগে গাড়ীতে ইয়াবা নিয়ে তা পাচারের চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ও পরে বন্দুকযুদ্ধে দুইজনের নিহতের ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply