টেকনাফ হতে প্রকাশিত নিউজ পোর্টাল ” টেকনাফ টুডে ডটকম ” এ প্রকাশিত ” হ্নীলায় সংঘবদ্ধ হামলায় রক্তাক্ত-১” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য বিষয় কে ধামাচাপা দিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র। মুল ঘটনা হচ্ছে, হ্নীলা উলুচামরী ৬নং ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকার মকবুল আহমদের পুত্র জসিম উদ্দীনের (২৪) সাথে ঐ এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের মেয়ে আমিনা আক্তারের (২০) সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের ইতি ঘটাতে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। পরে উভয়ে পরিবারের অসম্মতি জানালে দুই জনই পালিয়ে যায়। যা কয়েকদি যাবৎ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সামাধানের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। হঠাৎ করে দীর্ঘ এক সাপ্তাহ পর গতকাল ৬ এপ্রিল জসিম উদ্দীন পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী আমিনা আক্তার কে নিয়ে নিজ রাড়িতে এলে মেয়ে পক্ষের আত্মীয় মৃত ছৈয়দুর রহমানের পুত্র হাবিবুর রহমান(৪০) ও মুজিবুর রহমান (৩০) মৃত ছৈয়দ আহাম্মদ পুত্র শাহ আলম, মৃত মোঃ হোসাইনের পুত্র গিয়াস উদ্দিন(৩০) ও কাইছার উদ্দিন(২৪),মৃত আব্দু শরিফের পুত্র মোঃ রাসেল (২৮)ও নুর মোহাম্মদ (৪২),মৃত ছৈয়দু রহমানের পুত্র শবির রহমান(৩৫)ও কামরুল ইসলাম (২০) এবং মৃত মাহবুবুর রহমান এর পুত্র কফিল উদ্দীন (২৭)ও জামাল উদ্দীন (২৪),এবং মৃত মিয়া হোছানের পুত্র ছৈয়দ হোছন(৩৫) সহ আরো অনেকেই
মিলে জসিম উদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মহিলাদের মারধর করে জসিম উদ্দীনকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে আটকিয়ে মারধর করতে থাকে। এ খবর পাওয়া মাত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আটক জসিম কে উদ্ধারে গেলে তারা আমাদের ওপরও দা/ ধামা ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আমাদের কে আঘাত করে ও আমাদের আত্নরক্ষায় আমরা পালিয়ে যায় । একপর্যায়ে তারা জসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে গেলে খবরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করলে হ্নীলায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
উল্লেখ্য যে, তারা জসিম উদ্দীনের কান কেটে নেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা থেতলে দেয়।
ঘটনা আবগত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, মেম্বার আবুল হোসেন, টেকনাফ থানা পুলিশের টহলদল ঘটনাস্থলে এসে প্রকৃত ঘটনা অবগত হয়ে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বার উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন এবং জসিম উদ্দিনের চিকিৎসা শেষে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বিচারের অপেক্ষায় থাকি।
এমতাবস্থায় হাবিবুর রহমান গং নিজেদের দোষ ঢাকতে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে জাতির বিবেক সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। অভিযোগ কারিরা কিছু কিছু পত্রিকায় আমাদেরকে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায়ি বলে উল্লেখ করে দেশ ও জাতির কাছে অপরাধী বানাতে চাইছে। আমরা কোন দিন ইয়াবার সাথে জড়িত ছিলাম না।শুধু কৃষি ও লবন মাঠ /ব্যবসা আমাদের প্রধান পেশা। মুলত আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কারি (উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিরাই) ইয়াবা বড় বড় চালানের গডফাদার ও প্রকৃত ব্যবসায়ি ।যা আমাদের উপরে চাপিয়ে নিজেদের সুবিধা হাসিলের একটা বড় কৌশল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যা অপপ্রচারের নিন্দা জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
…………
১. নুরুল আমিন,(৩৫)
পিতা- মৃত আবুল হোসেন,
২.আনোয়ার হোছন (২৮)
পিতা – মৃত হাজী রুহুল আমিন,
৩.জসিম উদ্দীন (২৪)
পিতা- মকবুল আহাম্মদ
৪.নাম-আমিনা আক্তার (২০)
পিকা-মৃত ছৈয়দ আহাম্মদ।
উলুচামরি কোনার পাড়া,হ্নীলা, টেকনাফ কক্সবাজার
Leave a Reply