টেকনাফ৭১ডেস্ক::
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতটিকে মুসলমানগণ সৌভাগ্যের রজনী বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে পালন করে থাকেন।
মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন । মুসলমানগণ এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের এই রজনী বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন। আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ কামনা করে পবিত্র শবে বরাতের রাতে বিশেষ দোয়া করতে এবং কবরস্থান ও মাজারে জনসমাগম না করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।
আজ বিকেলে ইফা থেকে বলা হয়, বিশ্বে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান। বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে মহিমান্বিত এ রজনীতে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগীর সময় ব্যক্তিগত দোয়া ও প্রার্থনা ছাড়াও করোনা ভাইরাসের মহামারীর আক্রমণ থেকে দেশবাসী, প্রিয় মাতৃভূমি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখতে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করার জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক দেশের আলেম-ওলামা, পীর- মাশায়েখ, মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে দোয়া করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ইফা থেকে জানানো হয়, ইতোপূর্বে লক্ষ্য করা গেছে যে, পবিত্র শবে বরাতে যিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভিতরে ও বাহিরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়। এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে শবে বরাতে কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে কবরস্থান ও মাজারের গেইট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভিতর ও বাহিরে কোনো ধরনের জনসমাগম না-করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি গুজব ছড়ানো ও গুজবে বিশ্বাস হতে বিরত থাকার জন্যও সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।##
Leave a Reply