নাছির উদ্দীন রাজ (টেকনাফ ৭১)
মানুষ সামাজিক জীব, হয়ত কেউ স্বাভাবিক কেউ বা নিয়তির ইচ্ছায় কোন না কোন ভাবে সংসার ত্যাগি হয়। কিন্তুু তাই বলে তাকে অবমূল্যায়ন করা কত টুকু সামাজিক দায় দায়িত্বে পড়ে তা জানে না অনেকেই। গত ১০এপ্রিল একজন পাগল রঙ্গিখালী পাহাড়ের দিকে যেতে দেখেন অনেক পাহাড়ি ক্ষেত খামার করা লোকজন। মাগরিবের পুর্বাক্ষনে ও তাকে পাহাড়ের পাদদেশে দেখেছেন বনের চাষিরা। কিন্তুু রাত গেল সকাল বেলায় কাঠুরের দল পাহাড়ে গেলে দেখে বন্য হাতির আক্রমণে ছিন্ন বিছিন্ন একটি মৃত মানুষের দেহ। খবর দেন স্থানীয় জনসাধারণের, গিয়ে দেখে ঘটনা সত্য। সকলের কাছে প্রকাশ হয়েগেল একজন পাগল পাহাড়ে বন্য হাতির আক্রমনে মারা গেছেন। অদ্য ১১এপ্রিল দুপুর ১২ঘটিকার সময় স্থানিয় চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীর কাছে বিভিন্ন সুত্রে খবর গেলে, তিনি ঘটনাটি টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কে অবহিত করলে। তিনি ঘটনা স্থলে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম কে পাঠান।আই সি মনিরুল ইসলাম গহীন পাহাড়ের গিয়ে বন্য হাতির আক্রন্ত পাগলের ক্ষতবিক্ষত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেহটি নিজ হাতে কুড়িয়ে কুড়িয়ে একত্রিত করে প্লাস্টিক মুড়িয়ে সমতল স্থানে এনে আইনি প্রক্রিয়া শেষে গহীন পাহাড়ে জানাযার ও দাফনের ব্যবস্থা করেন । কারণ দেহটি কয় টুকরো হয়েছে তাও বলা মুশকিল। তিনি বলেন, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ আমাকে পাঠিয়েছেন, আমার দায়িত্ব মোতাবেক উপস্থিত সকলের কাছে পরামর্শ করে জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করেছি, সে মুসলিম না ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তা বুঝবে উপরওয়ালা ।আমরা কেবল রাষ্ট্রের দায়িত্ব টুকুই পালন করে যাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন রঙ্গিখালী ইজিবাইক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ, আব্দুল গফুর সাওদাগর, কৃষক মোঃ আলম,ওসমান গনি,সহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য সাধারণ জনমনে প্রশ্ন জাগিয়েছে, বনবিভাগের প্রাণি কর্তৃক পাগল নিহত হয়েছে খবর প্রচার হলে সংবাদ পেয়ে অনেক দূরথেকে পুলিশ এসে তা জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থাকরতে পারলও । কিন্তুু বনের নাগালে থাকা কোন বন কর্মকর্তা এক পলকের জন্য হলেও ঐ স্থানে এসে ঘটনাটির বিষয়ে খুঁজ খবর নিয়েছে, জানাযা ও দাফনের সময় পর্যন্ত অবস্থান করেছেন এরকম কোন কৃষক/ ক্ষেত খামারির বা জনসাধারণের চোখে পড়েনি বলে দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সাথে মোবাইলে (০১৯৯৯ ০০৪০৫০) যোগাযোগ করলে কলগিয়ে ছিল কিন্তুু রিসিভ হয়নি। না পেয়ে পরে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে মোঠু ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয় টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com