মোঃ আরাফাত সানী::টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরান পল্লান পাড়ায় স্থানীয় পুলিশ জনপ্রতিনিধি, তরুণ প্রজন্ম উদ্যোগে তাদের সাথে নিয়ে পতিতা পল্লী ও মাদকের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু হারেছ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর কোহিনুর আক্তার।
২২ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে এসব আস্তানা গুড়িয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ বহু বছর ধরে এ স্থানে পতিতা, মাদকসহ জুয়ার আসর বসত, পাশাপাশি মাদক সেবনের সাথে সাথে চলতো অবাধে মাদক কেনা-বেচা।
এসময় কাউকে ধরতে না পেরে অবশেষে আস্তানা গুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করে দেন টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় বসবাসরত পশ্চিম গোদারবিল এলাকার কুখ্যাত কালু ডাকাতের পতিতা ও মাদকের ডেড়ায় অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ থানা পুলিশ। অভিযান পরিচালনা করেন টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) নাজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, দ্বীর্ঘ এক যুগের বেশী সময় ধরে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রী পাড়ার বাসিন্দা মোঃ আলম ও শাহ আলমের মালিকানাধীন জমিতে ডাকাত কালু জোর পূর্বক বসতি করেন। জমির মালিকের অসহায়ত্বের সুযোগে পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী পিতা পুত্রের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে উক্ত জমিতে পতিতাবৃত্তি,খুচরা ও পাইকারী মাদক কারবার ও জুয়ার আস্তানা গড়ে তুলে এলাকার ছাত্র-যুব সমাজকে বিপদগামী করে আসছিলো। উক্ত প্রভাবশালী পরিবারের নেক নজরের কারনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারবার বিফল হয়েছে স্থানীয়রা। স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আলম বিষয়টি নিয়ে এলাকার যুবকদের সংগঠিত করে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হারেছের ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর কোহিনুর আক্তার এর সহযোগীতা কামনা করলে।
অবশেষে বুধবার বিকেলে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি টিম ও নূরুল আলমের সহ এলাকার সচেতন যুবকরা মিলে কাউন্সিলর উপস্থিতিতে কালুর পতিতা ও মাদকের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তা গুড়িয়ে দেয়। এসময় ডাকাত কালু পালিয়ে গেলেও পালাতে পারেনি ডজন খানেক যৌন কর্মী।
মানবিক দৃষ্টি কোন বিবেচনা করে এসব যৌন কর্মীদের সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে যুব সমাজের সহযোগীতা পেলে একে একে এলাকার প্রতিটি অবৈধ আস্তানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক নূরুল আলম জানান, আমাদের দীর্ঘ দিনের চেষ্টা সফল হয়েছে। উচ্ছেদকৃত আস্তানার পাশে সন্ত্রাসী ও মানবপাচারকারী আব্দুর রহমান গং
নাজির হোসেনের ছেলে আব্বুইয়া ও মুসলিম মিয়ার পুত্র ইসহাক উরফে মসকুর স্ত্রী মিনু আরার মাদকের আস্তানা, কাস্টমস অফিসের পিছনে মাদক পট্টি এখনো স্বচল রয়েছে। তাছাড়া হাফেজ আবু বক্করের বাড়ির সামনে পাহাড়ের টিলায় কালা মার্কেট খ্যাত রোহিঙ্গা মক্ষিরানী নয়ন বাহার তার নিজের মেয়েদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগীতায় এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করে এলাকার ছাত্র-যুব সমাজকে বিপদগামীতার হাত বাঁচাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com