বিশেষ প্রতিনিধি :পর্ব ১
কক্সবাজার টেকনাফে ইয়াবার ডিলার খ্যাত পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নাইট্যং পাড়ার পাহাড়ি এলাকা মোরার তলা নামক স্থানে। যেখানে ছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাকিম ডাকাতের আস্তানা।
দীর্ঘ ১২ বছর রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম ডাকাতের ক্ষমতা ব্যবহার করে এখনো নিয়মিত ইয়াবা ব্যবসা সহ, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারী শিশুদের নিয়ে নিয়মিত ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছেন বলে এলাকা বাসির তথ্য সূত্রে অভিযোগ উঠেছে। তার হাকিম ডাকাতের এর সাথে যোগাযোগ থাকায় ভয়ে এলাকার কিউ মুখ খুলেন না। সম্প্রতি সারা দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস ও ঘূর্ণিঝড় সহ পুরো দেশ যখন আতঙ্কে রয়েছে। সেই সুযোগ কে পুঁজি করে টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে পৌর সভার হেসহার খাল, কে কে খাল, জামাললার জুরা, শিয়ালল্লা গোনা সহ বরই তলী, কেরুন তলী খাল, সারিঅন খাল, চৌদ্দ নম্বর ব্রিজ, ওমর খাল সহ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বর্তমানে সাঁতরায়ে আসা ইয়াবার বড় চালান গুলো তার সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আসে! ইয়াবার চালান বারমায়া ছয়তালা সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে
তার সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছে ,ইউসুফ, বরই তলির বিয়াই মৃত কবির মেম্বরে জামাই ফরিদ উল্লাহ, আলম ও স্থানীয় ইসমাইলের নের্তৃত্বে একটি চক্র এ করোনার কঠিন সময়েও জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকের অহরহ বিশ্বস্ত সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তার মধ্যে ২/১ বছর আগে দিন মুজুর ,ইউসুফ ইয়ার ব্যবসা করে ইয়াবার টাকায় এখন আলিশান বাড়ির, গাড়ি, মটর সাইকেল, সহ কোটিপতি স্টাইল চলাফেরা। এই ঘটনায় সচেতন মহলে ভাবিয়ে তুলেছে। যা এলাকার অনেকে স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছে। তারা কিছুদিন আগে ইয়াবাসহ টেকনাফ থানা হাতে আটক হয়েছিল। সে মানবপাচার মামলার পলাতক আসামী। সে জেল খেটে এসে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে লোকজনকে হুমকি ধমকি দিয়ে পুনরায় কাউকে তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা। এছাড়াও তাদের চক্রে আরও এলার প্রভাবশালীরা অনেকে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক এদেরকে আটক করে তদন্ত করলে অহরহ গোপন তথ্য বের হয়ে আসবে বলে জানা যায়।
তবে স্থানীয় অনেক সচেতনমহল কর্তৃক এদেরকে একাধিকবার আইনকে শ্রদ্ধা করে প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করার কথা বল্লে। উল্টো ব্যর্থ হয়েছেন বলেও সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি অপারেশন রাকিবুল হাসান খান বলেন...তার ইয়াবা ও মানব পাচার মামলার কাগজপত্র অনুসন্ধান করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এই বিষয়ে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বাবু তরুণ কুমার রায় বলেন...প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আমরা এক পা ও পিছপা হব না। তদন্ত করে শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।###
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com