মোঃ আরাফাত সানী/সাইদুল ইসলাম ফরহাদ:টেকনাফ
কক্সবাজার টেকনাফ করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জুন পর্যন্ত সব এনজিওর কিস্তি আদায় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে টেকনাফ উপজেলার পৌরসভার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের হ্নীলা, হোয়াইক্যং,বাছারছড়া সহ উনছিপ্রাং কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রাহকদের চাপ দেয়া হচ্ছে। কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগও পাওয়া গেছে। অথচ আয় ও ব্যবসা বন্ধ থাকায় কিস্তি দেয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশা, ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রাহকদের চাপ দিচ্ছেন। অনেকের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করেছেন।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াইক্যং, লম্ববিল,উনছিপ্রাং, রইক্যং এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গ্রাহকদের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য দোকানে ও বাড়িতে গিয়ে দিয়ে চাপ দিচ্ছেন এনজিও কর্মকর্তারা। আবার সময়মতো কিস্তি পরিশোধের জন্য ফোন করছে কোনো কোনো সংস্থা।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নের উনছিপ্রা এর মোঃ নবী (২৮) আহমেদ বলেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ব্যবসা করে সংসার খরচ ও সপ্তাহে ১৫০০ টাকা কিস্তি পরিশোধ করেছি। প্রায় দুই মাস করোনাভাইরাসের কারণে এনজিওর কিস্তি বন্ধ ছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকে এনজিও সংস্থা আশা কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়া শুরু করেছে।
হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং চা-দোখান ব্যবসায়ী নুরুল কবির বলেন, টানা লকডাউনের জন্য দোকান খুলতে পারিনি। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে রেডক্রস কর্মীরা কিস্তির জন্য দোকানে এসে চাপ দিচ্ছেন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং বুলবুল আক্তার বলেন, গ্রামীন ব্যাংক সংস্থা থেকে নিয়মিত কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে তারা। কি করব বুঝতেছি না।
এই ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন যদি কোনো এনজিও জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায়ে বাধ্য করে তাদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করুন এবং এই চিঠি সংশ্লিষ্ট এনজিও কে দেখাবেন অথবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর সহযোগিতা নিন। সকল ইউনিয়ন পরিষদ এ মেসেজ দেয়া আছে।###
Leave a Reply