আমিরুল ইসলাম রাশেদ:: পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সৌদি প্রবাসী শাকের আহমেদের বসতভিটার দখলের পর রান্না ছোলা ভাংচুর ও ঘরের বাঁধ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত (২০ জুন শনিবার) দুপুর ১ টার দিকে সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ব্যামাখালী মৃত নজির আহমেদের পুত্র শাকের আহমেদের বসতভিটায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাকের আহমেদের ঘরের বাঁধের উপর টয়লেটের পাইপ লাইন চালাতে গেলে আলমগীর গংয়ের নেতৃত্বে ঘরের বাঁধ ভেঙে দেয় ও রান্না ছোলা গুড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় মৃত বশর আলীর পুত্র আলমগীর, আজমগীর, কফিল উদ্দীন, নুরুন নবী, আব্দুল করিম এর নেতৃত্বে ঘরের বাঁধের উপরে হামলা করে
ঘরের বাঁধ ভেঙে দেওয়া ও রান্না ছোলা গুড়িয়ে দেওয়া এবং বসতভিটার জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শাকের আহমেদ জানান, আলমগীর গং এর নেতৃত্বে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে হামলা মামলা করে আসতেছে। আমার বসতভিটায় আমার খতিয়ান ভুক্ত ১৭ শতক জায়গায় ৩শতক জায়গা দখল করে রান্না ঘর তৈরী করে রেখেছে।
আমার ঘরের দক্ষিণ দিকে তার আত্মীয় রোজিনার মাধ্যমে চলাচলের জায়গা দখল করে রেখে,আমার খতিয়ান ভুক্ত জায়গা দখলের চেষ্টা করতেছে।আমার ঘরের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে,টয়লেটের পাইপ ভাংচুর করেছে।
ভুক্তভোগী শাকের আহমেদ আরো জানান,আলমগীর গংয়েরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসতেছে, একাধিকবার আমারও আমার পরিবারের উপর হামলাকরেছে। বিভিন্ন ভাবে আমার জায়গা জমি দখলের চেষ্টা করতেছে,
আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে মেরে ফেলর হুমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
শাকের আহমেদের পুত্র মোহাম্মদ রুকন জানান, আলমগীর গং এর নেতৃত্বে আমাদের উপর একাধিক বার হামলা করেছে। এবং আমার স্ত্রীকেও মারধর করেছে তারা আমাদের কে রাস্তা ঘাঠে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। এখন আমার নিরুপায়, আমরা প্রশাসান সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার আকুল আবেদন জানায়।
অভিযুক্ত আলমগীর জানায়, আমরা তাদের কাছ থেকে জায়গা পাব, তাদের যে ঘরভিটা ওখানে রাস্তা ছিল। রাস্তা দখন করে ঘর নির্মাণ করেছে এই কারণে তাদের সাথে বারবার ঝগড়া লেগে আসতেছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় আগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পেকুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুল আজমের মোবাইল রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া আমি হয়নি।
Leave a Reply