আমিরুল ইসলাম রাশেদ::পেকুয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রবাসী শাকের আহমদ ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া রায় নিয়ে ঘুরছে প্রশাসনের ধারে ধারে।পাচ্ছে না কোন ধরণের সুরাহা। জবর দখলকারীরা এতই ভয়ংকর যে মানছেন না পরিষদের প্রদত্ত রায়।এমনকি মানছেন না পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কোন বারণ।যাচ্ছে তদবিরের জন্য জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে। এরপরেও পাচ্ছেনা কোন সন্তোসজনক কোন প্রকার সুরাহা।
সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ব্যাইমাখালী শাকের আহমদ সদর ইউপি কার্যালয় থেকে তার পক্ষ রায় পেয়েছেন এবং পেকুয়া থানায় শালেসী বৈঠকের মাধ্যমেও রায় পেয়েছেন। তার কাগজপত্র বৈধ হওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ওসি পেকুয়া কে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় মৃত বশর আলীর পুত্র আলমগীর, আজমগীর, কফিল উদ্দীন, নুরুন নবী, আব্দুল করিম এর নেতৃত্বে শাকের আহমেদের (১.১০শতক) জায়গা দখল করে রেখেছে সালিশকারীরা পাওনাদারকে জায়গা বুঝিয়ে দিতে গেলে আলমগীর গংয়েরা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত (২০ জুন) আলমগীর গংয়ের নেতৃত্বে শাকের আহমেদের ঘরের বাঁধের উপরে হামলা করে ঘরের বাঁধ ভেঙে দেওয়া ও রান্না ছোলা গুড়িয়ে দেওয়া এবং বসতভিটার জায়গা দখলের ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী শাকের আহমেদ জানান, আলমগীর গং এর নেতৃত্বে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে হামলা মামলা করে আসতেছে। আমার বসতভিটায় আমার খতিয়ান ভুক্ত (১৬.১০শতক) জায়গায় ১.১০শতক জায়গা দখল করে রান্না ঘর তৈরী করে রেখেছে। আমার ঘরের দক্ষিণ দিকে তার আত্মীয় রোজিনার মাধ্যমে চলাচলের জায়গা দখল করে রেখে,আমার খতিয়ান ভুক্ত জায়গা দখলের চেষ্টা করতেছে।আমার ঘরের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে,টয়লেটের পাইপ ভাংচুর করেছে। ভুক্তভোগী শাকের আহমেদ আরো জানান,আলমগীর গংয়েরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসতেছে, একাধিকবার আমারও আমার পরিবারের উপর হামলাকরেছে। বিভিন্ন ভাবে আমার জায়গা জমি দখলের চেষ্টা করতেছে, আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে মেরে ফেলর হুমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
শাকের আহমেদের পুত্র মোহাম্মদ রুকন জানান, আলমগীর গং এর নেতৃত্বে আমাদের উপর একাধিক বার হামলা করেছে। এবং আমার স্ত্রীকেও মারধর করেছে তারা আমাদের কে রাস্তা ঘাঠে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। এখন আমার নিরুপায়, আমরা প্রশাসান সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার আকুল আবেদন জানায়।
পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান জানান
এই বিষয় নিয়ে আমি বারবার বসেছি শাকের আহমেদ বিচার মানলেও আলামগীর তার ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে কোন বিচারেই মানছে না, জায়গা সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় আমি আদালতে যথাযথ ভাবে প্রতিবেদন প্রেরণ করব।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com