আমিরুল ইসলাম রাশেদ::পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া মনছফা বেগমের ছেলে চট্রগ্রাম কলেজের অর্থনৈতিক বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মাশরাফি ছরওয়ার হিরনের (২২) উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল ২২ জুন সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া মনছফা বেগমের বসতভিটার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
একই এলাকার মৃত এছারুল হকের পুত্র নেজাম উদ্দীন,নেজামুর রহমানের স্ত্রী রুজিনা আক্তার, নুরুল হুদার স্ত্রী রেনুয়ারা বেগম এর নেতৃত্বে অজ্ঞত (৫ জন) মিলে মনছফা বেগমের বসতভিটায় হামলা চালায়। এবং তার পুত্র মাশরাফি ছরওয়ার হিরনের উপর লোহার রড় ও কিরিচ দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার মাথায় কিরিচের খুপ ও লোহার রড়ের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২টার দিকে মনছফা বেগম হাসপাতালে থাকা কালে তার পুত্র হিরন বাড়িতে একা অবস্থান করেছিল। প্রতিপক্ষ নেজার উদ্দীন গংয়ের অকাট্য ভাষায় গালিগালাস করলে হিরিন তাদেরকে গালিগালাজ করতে মানা করায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে কিরিচ, লোহার রড় দিয়ে হিরনের উপর হামলা করে। স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে গেলে নেজাম গংয়েরা পালিয়ে যায়।
হিরনের মা মনছফা বেগম জানায়, আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ১০ বছর আগে তখন থেকে আমি চাকরি করে আমার সংসার চালায়। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক জন্য কর্মচারী। আমি বাড়িতে সবসময় থাকিনা, আমি বাড়ি না থাকার শুভাদে আমার ছেলের উপর হামলা করেছে। আমার আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমার ভাই নেজাম উদ্দীন আমাকে এক শতক জমিও ভুগ দখল করতে দেয়নি।আমি সরকারী খাস জমিতে ঘর করে আছি। আমার পৈতৃক সম্পতি দাবি করায় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে আসছে। তারা যে কোন মূহুর্তে আমাকে এবং আমার ছেলে কে হত্যা করতে পারে। কারণ আমাদের কে শেষ করতে পারলে তারা সব জমির মালিক হবে। আমি প্রশাসনসহ সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এই বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম জানায়, এজাহার পেয়েছি, ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত বব্যস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com