কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় এলাকা বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত আইনশৃংলা পরিপন্থী ঘটনা ঘটছে। এলাকাটি পাহাড় ও সাগর ঘেষা হওয়ায় অপরাধ কর্মকান্ড করে অপরাধীরা সহজেই আত্বগোপনে চলে যেতে পারায় নিত্য এমন ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানায় সাধারন লোকজন। একের পর এক এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দিনমজুর থেকে শুরু করে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনায় টেকনাফ বাহারছড়ার শামলাপুর বাজারে মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীদের হামলায় হাটহাজারি এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (এটিআই) মেধাবী ছাত্র জাহেদ হোসাইন রুবেল এবং মো: ইব্রাহীম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে। অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চমেক হাসপাতালে রেফার করে।
সোমবার (২৯ জুন) বিকাল ৪ টার দিকে শামলাপুর বাজারের হোয়াইক্যং সড়কে নির্মাণাধীন ভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে থানায় এজাহার সুত্রে জানা যায়। আহত রুবেল মনখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদের ছেলে।
সু্ত্রে জানা যায়, ২৯জুন (সোমবার) বিকাল ৪টার দিকে চট্রগ্রাম হাটহাজারী এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহেদ হোসেন রুবেলকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে শামলাপুর থেকে হোয়াইক্যং যাতায়াতের এক মাত্র মাধ্যম ঢালার মুখের প্রধান সড়ক এর উত্তর পাশে নির্মানাধীন ভবনে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মোটর সাইকেলের চেইন, লোহার রড দিয়ে এলো পাতাড়ী মারধর করে গুরুতর আহত করে। তার সাথে থাকা একটি দোমী মোবাইল সেট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপরে জাহেদ হোসেন রুবেল এর বড় ভাই নুরুল হক বাদী হয়ে ৩জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রুবেল ও ডালিম নামের যুবক শামলাপুর বাজারে ঘুরাফিরা করার সময় আনুমানিক ৪টার দিকে শামলাপুর পুরানপাড়া এলাকার খলিল আহমদের ছেলে মাদকাসক্ত হাসান বাহাদুর (২০), শিলখালী এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর (২৫) এবং মোঃ খলিলের পুত্র ছেলে হামিদ উল্লাহ (২৭)সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ এর নেতৃত্বে একদল যুবক রুবেলকে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভেতরে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে ও চুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এনজিও MOAS হাসপাতালে ভর্তি করে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হওয়ার কারনে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইব্রাহীম নামে আরো একজন আহত হয়েছে।
রুবেল’র বড় অভিযোগকারী ভাই নুরুল হক সাংবাদিকদের জানান, রুবেলকে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে হামলা করেছে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে আহত ছোটভাইকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে প্রাথমিক শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে প্রেরণ করে। কিন্তু রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা ভয় পেয়ে যায়। তাই চমেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে আল্ ফুয়াদ হাসপাতালে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করি।
তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান।
Leave a Reply