1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বোচ্চ দামে নিলাম পেলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিআইপি টেকনাফে ৭০ হাজার মানুষ বেকার- কর্মহীন : জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে টেকনাফের হ্নীলাতে নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন টাকা লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর থানায় অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স টিমে যোগ দিলেন সাংবাদিক হাফেজ আহমদ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন টেকনাফে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার পলায়ন হয়রানী মূলক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ৫ শিশুর মা! হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের যুব সমাবেশ অনুষ্টিত টেকনাফে জমি বিরোধের জেরে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে স’ন্ত্রা’সী সাজানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখা’র সদর ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন। বন্যার্ত ৫’শ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

হ্নীলার জমজমাট ইয়াবা সিন্ডিকেট: ধরাছোঁয়ার বাইরে

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০
  • ৯৭৯ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ শফি::টেকনাফ

কক্সবাজার টেকনাফে আগের মত ইয়াবা কারবারিদের মাদক ব্যবসা নতুন করে জমজমাট। গেল বছর দুয়েক ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বেশ কয়েকজন ইয়াবা ডন বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও ১০২ জন শীর্ষ আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি রোহিঙ্গা দূষিত এলাকা আত্ম সমর্পণ করলে তাদের সহযোগী অপরাপর ইয়াবা কারবারিরা গা ঢাকা দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রকোপ বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসন করোনা সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে মনোনিবেশ করলে পালিয়ে থাকা ইয়াবা ডনরা পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে এবং তাদের সেই পুরাতন অবৈধ ইয়াবা কারবার চালু করেছে। যা বিগত কয়েক দিনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হাতে বড় বড় ইয়াবার চালান আটকের মাধ্যমে স্পষ্ট।

বিগত সাপ্তাহ দশেক ধরে আটক ইয়াবার সংবাদ গুলো বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয় যে, এসব ইয়াবার মূল সিন্ডিকেটের অধিকাংশই হ্নীলা-হোয়াইক্যংয়ের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রোহিঙ্গা অধ্যুশিত হ্নীলার ইয়াবা কারবারিরা রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের সমন্বিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযানে নির্মূল প্রায় ইয়াবা কারবারকে ফের পুনরুজ্জীবিত করেছে।
এসব ইয়াবা সিন্ডিকেটের মধ্যে বর্তমানে বেপরোয়া হচ্ছে
হ্নীলা পূর্ব পানখালী হোয়াকিয়া পাড়ার আব্দুর রহমনের পুত্র শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নুরুল আমিন (৩৫) ও তার আতর ব্যবসায়ী শমশু আলমের পুত্র সাইফুল (৩০), তার ভাই ইব্রাহিম (৩২), ফুলের ডেইলের জনৈক মুসালীর সমন্বয়ে গঠিত ইয়াবা সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের প্রায় সব সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধসহ একাধিক মামলা। বর্তমানে এলাকায় তাদের অবাধ বিচরণ ও ইয়াবা কারবার এখন হ্নীলার টক অব দ্যা টাউন।
এছাড়াড়া হ্নীলার ইয়াবা জোন হিসেবে পরিচিত লেদা এলাকার পূর্ব লেদা লামার পাড়ার জয়নাল, রশিদ আহমেদর পুত্র জয়নাল (৩৩) ও তার দুই মামা লেদা লামার পাড়ায় অবস্থানকারী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মৌলভী মৌলভী আইয়ুব ও রোহিঙ্গা সমন্বয়ে গঠিত ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরা কারবারি সিন্ডিকেট।
এ সিন্ডিকেটের লেদা সীমান্ত তীরবর্তী নাফনদী দিয়ে ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচার করে বলতে গেলে প্রকাশ্য। বিগত দিনে এ সিন্ডিকেটের কয়েকটি ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান লুট নিয়ে বেশ তুলকালাম কান্ড ঘটে বলে জানা যায়। যার জের ধরে একজন বন্দুক যুদ্ধে নিহত ও বেশ কয়েকজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও মূল সিন্ডিকেটের জয়নাল, রোহিঙ্গা মৌলভী আইয়ুব এখনো ধরাছোয়ার বাইরে।

লেদার আলোচিত আরেক ইয়াবা সিন্ডিকেট হচ্ছে পশ্চিম লেদার মোঃ হাসান প্রকাশ লম্বা হাসানের পুত্র মোঃ ছিদ্দিক, নুরালী পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুল খালেক প্রকাশ ডাকাত খালেক, মৃত আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুল অমিন, মকতুল হোসেনের পুত্র নুরুল আমিন। এ৷ সিন্ডিকেটের পরস্পরের মধ্যে ইয়াবার চালান লুট নিয়ে দন্ধে এলাকায় বেশ কয়েকবার গুলাগুলি ও অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা ঘটে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন সচেতন লোক জানান। এদের মধ্যে নুরুল আমিন ইতিমধ্যে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। ইয়াবার চালান লুট নিয়ে মোঃ ছিদ্দিক ও ডাকাত খালেকের মুখোমুখি অবস্থান এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া হ্নীলার অপরাপর বড় ইয়াবা কারবারির মধ্যে রয়েছে পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছৈয়দ আহমদের পুত্র
মোঃ ইউনুস (৪৫), পশ্চিম সিকদার পাড়ার মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র মোঃ নুর, পূর্ব সিকদার পাড়ার ইদ্রিস মিকারের পুত্র রিদুয়ান ও মুন্না, নাটমুরা পাড়ার আব্দুল্লাহ (২৮), পুর্ব সিকদার পাড়ার মুহিব (৪০) প্রকাশ সিলেইট্টার পুত্র, মন্ডল পাড়ার নজিরের পুত্র ইদ্রিস (৩৮), হোয়াকিয়া পাড়া প্রমূখ।
চলবে…..

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন তদন্ত করার পর প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি বিন্দুমাত্র ছাড় নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর