বিশেষ প্রতিবেদক||
খুব দ্রুতই লে.কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হবে। কথিত দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে বিদায় নিতে হবে এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে কক্সবাজারে ।
আরও প্রচার করা হচ্ছে, কউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছে তারা আটঘাট বেঁধে একজোট হয়েছে। তাতে করে আর রক্ষা নাই লে.কর্ণেল(অবঃ) ফোরকান আহমদের।
সাম্প্রতিক সময় এ ধরনের প্রচারে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সত্যি কি এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটতে চলছে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকের!
অনুসন্ধান করে জানা গেছে,শুধু গুঞ্জন নয়, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল (অবঃ)ফোরকান আহমদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে একটি প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের উদ্দেশ্য হলো বির্তকিত করে ফোরকান আহমদকে বিব্রত করা এবং সেটা ব্যাপকভাবে প্রচারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত পৌঁছানো।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে,কউক চেয়ারম্যানকে দুর্নীতিবাজ বলে অপপ্রচার ও বিতর্কিত করার লক্ষ্যে কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে চক্রটি। ওই চক্রের সাথে রয়েছে ঠিকাদার,তদবিরে ব্যর্থ তদবিরবাজ,স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদ আতংকে থাকা ব্যক্তিদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা ও চিহ্নিত কয়েকজন সাংবাদিক ।
সূত্রটি আরও দাবি করেছে, এরই মধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চক্রটি নিজেদের নাম গোপন রেখে কউক চেয়ারম্যানকে বিব্রত করতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, দুদকসহ বিভিন্ন তপ্তরে বেনামে একাধিক চিঠি দিয়েছে তারা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তিনি একজনকে ফোনে বলতে শুনেছেন,যত টাকা খরচ হয় হোক’ দপ্তরের চিঠি দেয়ার পর রিসিভ কপি নিয়ে যেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ করার ব্যবস্থা করেন। তিনি আরও শুনেছেন, জাতীয় কয়েকটি দৈনিক ও স্থানীয় সব দৈনিক বিশেষ করে অনলাইন পোর্টালগুলোতে লে.কর্ণেল ফোরকান আহমদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য ব্যবস্থা করার কথাও বলেছে ওই ব্যক্তি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল ফোরকান আহমদ এলডিএমসি পিএসসি বলেন,এসবই হতে পারে। আমিও শুনেছি।
তিনি বলেন,যদি কেউ সত্যিকার অর্থে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে থাকে, তাকে আমি স্বাগত জানাই। কারণ আমি যে কোনো প্রতিকূলতাকে মোকাবেলার সাহস রাখি।
কিন্তু নাম গোপন করে অভিযোগ দিলে বুঝে নিতে হবে তদবিরে ব্যর্থ,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত,আতংকিত লোকজনই এসব করছে। যারা পরিচয় প্রকাশ করলে চিহ্নিত হবে।
ফোরকান আহমদ আরও বলেন, এসব বিষয় নিয়ে মাথাব্যথা নেই।আমার সময় নষ্ট করার সময় নেই। আমার লক্ষ ও উদ্দেশ্য হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আশা আর স্বপ্ন পোষণ করেন সেটা পূরণ করা। কক্সবাজাবাসীকে পরিকল্পিত একটা কক্সবাজার উপহার দেয়া।সবাই দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাবো।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com