বিশেষ সংবাদদাতা
শেরপুরের নকলায় সাংবাদিক নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু ও সাংবাদিক খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে মানহানী আইনে মাননীয় সি.আর আমলী আদালত শেরপুরে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করার পরে নকলা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু দৈনিক কালে কণ্ঠের সাংবাদিক নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, খন্দকার জসিম উদ্দিন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভির সাংবাদিক ও নকলা প্রেসক্লাবের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং নাসির উদ্দিন দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনের সাংবাদিক ও নকলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠা ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ জুলাই) বিকেলে নকলা শাহরিয়া ফাজিল মাদ্ররাসা প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জরুরি সভা করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদসহ তীব নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি কলামিষ্ট সাংবাদিক তালাত মাহমুদ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মিথ্যা মামলার নিন্দায় প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন- নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রফিক, দপ্তর সম্পাদক মমিনুল ইসলাম সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. নূর হোসাইন, সম্মানীত সদস্য মাহবুবর রহমান, মিজানুর রহমান, মোশারফ হোসাইন ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, মিথ্যা মামলায় যেসকল সাংবাদিকদের মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে, প্রয়োজনে বেলায়েত হোসেন আকন্দের বিরোদ্ধে কোটি টাকার মানহানী মামলা করবেন বলেও তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন। এসময় উপজেলায় কর্মরত অন্যান্য সাংবাদিকদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সদস্য শিমানুর রহমান সুখন, ফজলে রাব্বী রাজন, মানিক মিয়া, নাহিদুল ইসলাম রিজন এবং নবীন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন শ্যামল ও মো. সুজন মিয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জেলার নকলা উপজেলাধীন টালকী ইউনিয়নের রামেরকান্দি গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন আকন্দ বাদি হয়ে শেরপুর সি.আর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মিথ্যা মামলায় জড়ানো সাংবাদিক ৩ জনের অভিযোগ, বেলায়েত হোসেন আকন্দ নিজের অপরাধ ও কুকর্ম ঢাকতে বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ট লেখাকে থামিয়ে রাখতে এবং হয়রানি করার জন্যই মিথ্যা বানুয়াট এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ও উপজেলার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা আরও জানান, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিকগন বলেন- বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেছেন যে, আমরা নাকি খারাপ প্রকৃতির লোক, আমরা নাকি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য পেশ করে তাকে ব্লাক মেইল করি; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা খবর করেছি বটে, তবে তা সম্পূর্ণ সত্য তথ্য নির্ভর ও সঠিক প্রমানাধির ভিত্তিতে; তথা ভুক্ত ভোগীদের আবেগময় কণ্ঠের ভিডিও ধারন করে প্রমানের মাধ্যমে। আর আমাদের এ খবরের উপর ভিত্তি করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাকে দোষী সাবস্থ করা হয়। অত:পর কৌশলে পরিচালনা করা বেলায়েত হোসেন আকন্দের ভাতিজা (বড় ভাইয়ের ছেলে) ফরিদ মিয়ার ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে অভিযুক্ত সাংবাদিকগন জানান। তাঁরা বলেন, ১০ টাকা কেজি দরের চাল কেলেঙ্কারির বিষয়টি আয়নার মতো স্বচ্ছ ছিলো বলেই তদন্ত কমিটি কর্তৃক সরেজমিন তদন্তে সে দোষী প্রমাণিত হয়।
নিন্দা জ্ঞাপন ও প্রতিবাদ সভার পরে নকলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকতা বিষয়ে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার ব্যবস্থা গ্রহনের সীদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তাছাড়া নবীন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন শ্যামল (তৃণমূল বার্তা) ও মো. সুজন মিয়া (সরেজমিন বার্তা)-কে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নকলা প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com