অনলাইন ডেস্ক:
চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করে তিন বন্ধু টানছেন মামলার ঘানি। রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত, শিপ্রা ও তাহসিন কক্সবাজারে গিয়েছিলেন সাবেক মেজর সিনহা রাশেদের সাথে কাজ করতে। শিপ্রা ও সিফাত এখন জেলে। স্বজনদের জিম্মায় ফিরে এসেছেন তাহসিন। পরিবারগুলোর দাবি, টেকনাফের পুলিশের গুলির ঘটনায় ভুক্তভোগী তারা।
সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা রাণী দেবনাথ আর তাহসিন রিফাত নুরের স্বপ্ন চলচ্চিত্র মাধ্যমে অনেক দূরে যাওয়ার। সেই আশা নিয়ে ভর্তি হন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগে।
ছবি তোলা ও ভিডিওগ্রাফির কাজের জন্য যোগ দেন সাবেক মেজর সিনহা রাশেদের দুঃসাহসিক তথ্যচিত্র নির্মাণের দলে। সবশেষ, ৩১ জুলাই রাতে সিনহার সাথে ছিলেন সিফাত। পুলিশের গুলিতে সিনহা মারা যাবার পর পুলিশের দিকে গুলি তাক করে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার করা হয় সিফাতকে। ঘটনার সময় শিপ্রা ও তাহসিন ছিলেন হিমছড়ির নিলীমা রিসোর্টে পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্ষ থেকে মদের বোতল জব্দ দেখায় পুলিশ। পরদিন স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় তাহসিন নুর রুফতিকে। গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
আটক হওয়ার পর একটি ফোন থেকে কোনোরকমে পরিবারের সাথে দুই মিনিট কথা বলতে পারেন সিফাত। তখন তিনি জানায়, তার সাথে শুধু ক্যামেরার জিনিসপত্র ছিল। কোনো মাদক ছিল না।
সিফাতের খালা অ্যাডভোকেট নিলু ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তার কাছে ইয়াবা, গাঁজা, মদ পাওয়া গেছে এসব বলার মানে কী? মিথ্যা বানোয়াটের তো একটা সীমা থাকে। সে তো এসব কিছুর মধ্যেই ছিল না। তার ওপর কীভাবে চার্জ আসে? এটা কী মগের মুল্লুক হয়ে গেলো!
গ্রেফতার সিফাতের নানা আইয়ুব আলী হাওলাদার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বিনা দোষে অন্যায়ভাবে সিফাতকে নাটকের করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
গ্রেফতার হওয়া শিপ্রা রাণীর পরিবারও আছে বেশ উদ্বেগে। কুষ্টিয়ার মিরপুরের হাজরাহাটি এলাকায় তাদের বাড়িতে গেলে, নিরাপত্তাহীনতায় কেউ দেখা দিতেই রাজি হননি। আগে থেকেই বেশ অসুস্থ শিপ্রার বাবা সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। অবশ্য ফোনে পরিবারির দাবি, পুলিশের অভিযোগ মিথ্যা।
শিপ্রার ভাই শুভজিত দেবনাথ বলেন, তার মতো একজন মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতার ওপর প্রশাসনের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও নাটক। আশা করি দেশের বিচার ব্যবস্থা সব সত্য আমাদের সামনে উন্মোচিত করবে।
তিন শিক্ষার্থী এভাবে পুলিশের মামলার মধ্যে পড়ে যাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সবাই চান, সুষ্ঠু তদন্ত করে বিষয়টি সুরাহা করার।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com