প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১:২৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৭, ২০২০, ৬:০৭ পি.এম
হোয়াইক্যং’র আলোচিত দফাদার নুরুল আমিন ওসি প্রদীপের ভয় দেখিয়ে কোটি টাকা আদায়–টেকনাফ ৭১
মোঃ শেখ রাসেল/সাইদুল ইসলাম ফরহাদ::কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দফাদার নুরুল আমিন রাতারাতি জিরো থেকে হিরো হয়ে গেলেন অল্প সময়ে। বাংলাদেশ সরকার যখন মাদক মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন তখন থেকে ক্রসফায়ারের নামে ঘুষ বার্ণিজ্য শুরু করেন ওসি প্রদীপ কুমার। এই ঘুষের নেতৃত্ব দিতেন দফাদার নুরুল আমিন।
ওসি প্রদীপ যখন ক্রসফায়ার দেওয়া শুরু করেন তখন থেকে এই ঘুষের বাণিজ্যও শুরু। তখন আতঙ্কে পড়ে যায় পুরো টেকনাফ উপজেলা বাসী। এই সুবর্ণ সুযোগে ইয়াবা ও ঘুষের বার্ণিজ্য নেমে যায় দফাদার নুরুল আমিন। দফাদার নুরুল আমি ওসি প্রদীপের প্রধান সোর্স। ওসি প্রদীপের অবৈধ লেনদেন করতেন নুরুল আমিন। দফাদার নুরুল আমিন এই সুযোগে অসহায় অসংখ্য মানুষকে হয়রানির শিকার করে।
মামলায় ঢুকায় দিবে বলে কারো কাছ থেকে ৫ লক্ষ কারো থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিতেন দফাদার নুরুল আমিন। আবার মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কেড়ে নিত নামি-দামি গাড়ি। মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ার অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই দফাদার। তার নেতৃত্বে চলে ইয়াবা ডনদের টাকার বিপুল পরিমাণ লেনদেন। প্রতিমাসে ইয়াবা ডনদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতেন পুলিশের হাত থেকে এই দফাদার নুরুল আমিন।
বিগত দুই বছর আগে যেখানে নুরুল আমিন একটি মাইক পাবলিসিটির ছোট্ট একটা দোখান করতো। তার খাবারের জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো। এবং তার পিতা মৌলভী সিরাজ এর এত সম্পদ ছিলনা। যেখানে রাতের খাবার জোগার করলে সকালের চিন্তা করতে হতো তার পরিবারের। এখন সেই দফাদার রাতারাতি কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো জনমনে প্রশ্ন এখন।
বর্তমানে তার দামী বাইক ও ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একটি মার্কেট রয়েছে। তার নিজ অর্থায়নে তার বাড়ি যাওয়ার জন্য ৬লক্ষ টাকা খরছ করে একটি সড়কও নির্মান করেছেন এই দফাদার নুরুল আমিন। এবং আরেকটি কথা শুনলে সবাই অবাক হয়ে যাবেন সেটি হলো wifi লাইন যখন হোয়াইক্যং ইউনিয়নে প্রথম নেওয়াস আনে তখন সেই লাইনটির নজর লাগে দফাদার নুরুল আমিনের। তখন থেকে মামলা ও ক্রসফায়ারের হুমকি দেয় দফাদার নুরুল আমিন।অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে অল্প টাকায় wifi লাইনটি দফাদার নুরুল আমিন এর হাতে তুলে দেয় নেওয়াজ। তার অপকর্মের বিষয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চাইলে তাদের মামলায় ঢুকায় দিবে বলে হুমকি দিয়ে দমন করে রাখতেন নুরুল আমিন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে দফাদার নুরুল আমিনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com