1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

পুলিশী কার্যক্রমে স্থবিরতা টেকনাফে হঠাৎ বেড়েছে ইয়াবা পাচার!

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০
  • ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

খায়রুল আলম রফিক::ইয়াবা পাচারের প্রবেশদ্বার খ্যাত টেকনাফে পুলিশী কার্যক্রমে স্থবিরতার সুযোগে ইয়াবা তথা মাদক পাচার বেড়েছে। গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা নিহতের পর পুলিশের কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১৫ আগস্ট রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া ওমর খাল এলাকা কেওড়া বাগানের ভেতর থেকে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করে ৫টি বস্তা ইয়াবা উদ্ধার করে। সংখ্যায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ইয়াবা। যার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সাত পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। প্রদীপসহ আসামিরা এখন কারাগারে রয়েছেন। গত ১১ আগস্ট টেকনাফ থানায় পদায়ন করা হয় ওসি মো. আবুল ফয়সলকে। পরে ২০ আগস্ট তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বদলী করা হয়।

এসব কারণে টেকনাফে পুলিশের কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ইয়াবা পাচারে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে পাচারকারীরা। পাচারের সাথে জড়িতদের পঞ্চাশ ভাগই রোহিঙ্গা।

মেজর সিনহা নিহতের পর মাদক চোরাচালানে পুলিশের নজরদারি অনেকাংশে কমে গেছে। ইয়াবার মূল ব্যবসায়ীরা যারা ইতিপূর্বে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল তাদের কেউ কেউ প্রকাশ্য হচ্ছে। বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা পাচার হচ্ছে।

মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের দিয়ে টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীরা সরাসরি ইয়াবা পাচার করছে। এসব মাদক রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও বিভিন্নস্থানে মজুদ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে থানায় মাদক বিরোধী অভিযান খুব একটা হয়নি। গ্রেফতার ও মামলার সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম। কমেছে জিডি ও সড়কে নেই পুলিশের টহল। অর্থাৎ কমেছে এক তৃতীয়াংশ। থানায় ভেতর জনসাধারণ ও সোর্সের যাতায়াতও কমে গেছে।

টেকনাফ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে থানায় মাদক বিরোধী অভিযান খুব একটা হয়নি। গ্রেফতার ও মামলার সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম। কমেছে জিডি ও সড়কে নেই পুলিশের টহল। অর্থাৎ কমেছে এক তৃতীয়াংশ। থানায় ভেতর জনসাধারণ ও সোর্সের যাতায়াতও কমে গেছে।

জানা গেছে, টেকনাফে দুই লাখ মানুষের মধ্যে আশি ভাগ কোনো না কোনোভাবে ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট। গোয়েন্দ ঐ সূত্র জানায়, টেকনাফে পুলিশের অভিযান কমে যাওয়ায় মাদকের পাচার কয়েকগুণ বেড়েছে।

অভিজ্ঞরা বলছেন, পুলিশের কার্যক্রম থমকে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক বেড়েছে। পুলিশের কার্যক্রম জোড়দার করে মাদক সিন্ডিকেট এখনই ভেঙ্গে দিতে হবে। পুলিশের কার্যক্রম স্থবির হওয়ায় টেকনাফ মাদক পাচারের নিরাপদ রুট মনে করার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারবারিদের। তাই, টেকনাফকে মহিরুহে বেছে নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা অস্ত্র নিয়ে মাদকবহন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক জানান, ২-১ দিন পেট্রোল ডিউিটিতে সমস্যা হলেও এখন সব ঠিক হয়েছে। বিডি২৪লাইভ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!