সাইদুল ইসলাম ফরহাদ, টেকনাফ
টেকনাফের দূর্গম খারাংখালী-নয়াবাজার সীমান্ত পয়েন্টের নাফনদী উপকূলে মৎস্যঘেঁর দেখাশুনা এবং মহিষ চরানোর অজুহাতে এখনো কৌশলী কয়েকটি শক্তিশালী চক্র ইয়াবার চালান খালাস এবং পাচারের লিপ্ত রয়েছে। তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে সচেতনমহল।
জানা যায়,টেকনাফে চলমান মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে অনেক আলোচিত-সমালোচিত কর্মকান্ডের আবিভার্ব হলেও এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে কৌশলী মাদক কারবারীদের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার মোহাম্মদ আলীর পুত্র শামসুল আলম, দুদু মিয়ার পুত্র শাহ আলম, কাঁলা চাঁনের পুত্র সফিক আলম,নুর হোসেনের পুত্র রুবেল,লোকমান হাকিমের পুত্র তারেক, মৃত মোজাহার মিয়ার পুত্র ধলাইলা, নুরুল আলমের পুত্র নুরুল্লাহর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এখনো কৌশল অবলম্বন করে মাদকের চালান খালাস এবং বিভিন্ন জনের নিকট সরবরাহ করে আসছে। তারেক নাকি নাফনদীর পূর্ব পাড়ে প্রজেক্টে অবস্থান নিয়ে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আর সফিক ক্রেতা সংগ্রহ এবং চালান সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। নয়াবাজারে জনৈক চৌকিদারের পুত্র বদি পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ায় দূর্গম পাহাড়ে আস্তানা গড়ে এখনো অস্ত্রধারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব মৎস্যঘেঁর দিয়ে মাদকের চালান খালাস করছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এছাড়াও ফেরারী অবস্থায় থাকা বেশ কয়েকজন এখনো মাদক অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
নয়াবাজার-খারাংখালীর মধ্যবর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পয়েন্টে মৎস্য ঘেঁরে মাছ শিকার ও পরিবহন এবং রাতে ছেড়ে দেওয়া মহিষ খোঁজার অজুহাতে এই চক্রের ৩জন সদস্য কৌশল অবলম্বন করে বড় ধরনের মাদকের চালান খালাসের পর স্থানীয় মাদক কারবারীদের নিকট সরবরাহ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কোরবানের আগে এই সিন্ডিকেটের ইয়াবার চালানসহ এক মাদক কারবারী র্যাবের হাতে আটক হয়। ১২ আগষ্ট স্থানীয় বিজিবি জওয়ানেরা ওই সীমান্ত পয়েন্ট হতে ২লাখ ৩০হাজার ইয়াবার চালান জব্দ করে।
গত ২৪ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০টারদিকে মৎস্যঘেঁর হতে মাছের ঝুঁড়ির ভেতরে করে ইয়াবার একটি চালান খালাসের ঘটনায় এলাকায় তোড়পাল চলছে। একইদিন বিকালে স্থানীয় মাদক কারবারী আবুল বশর মরিচ্যাঘোনা এলাকায় ১১হাজার পিস ইয়াবার চালান বিক্রি করতে গেলে ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে। যা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
কৌশলে মাদকের চালান খালাস সংক্রান্ত বিষয়ে শাহ আলমের নিকট জানতে চাইলে বলেন, তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন আমি প্রজেক্ট মালিক। এখনো কিছু মাদক কারবারী তৎপর রয়েছে। স্থানীয় বিজিবি এসব বিষয় অবগত হয়ে এসব চক্রকে ফাঁদে ফেলার জন্য সক্রিয় রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এসব মাদক কারবারীরা ধরা পড়বেই। এই চক্রের ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধানে স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে কথা বললে এই চক্রের সবাই মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানায়। মাদক দমন নিয়ে দেশ ও জাতির দুঃসময়ে এখনো যারা মাদক অপতৎপরতায় সম্পৃক্ত তাদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী উঠেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ (২বিজিবির) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খাঁন জানান সীমান্ত ও উপকূলে মাদক ও মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply