টেকনাফ প্রতিনিধি,
১৮০ দিন দীর্ঘ ৬ মাস পর টেকনাফে মানসিক রোগীদের তহবিল মারোত এর সহযোগীতায় মাকে পেয়ে আত্মহারা পটিয়ার ফারুক। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফারুকদের বাড়ি। চার ভাইবোনের মধ্যে সেই বড়। ঘরে বাবা মাদুর, দীর্ঘদিন যাবত তার মা ও ছিলো মানসিক রোগি। মায়ের কোলে দুই বছরের দুধের শিশু তার রয়েছে। ১১ মাস আগে সেই দুধের শিশুকে ফেলে কখন যে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ফারুকের মা হালিমা। বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে হালিমা যখন টেকনাফ উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারে ঘোরাঘুরি করছে ঠিক তখনই নজরে আসে মানসিক রোগিদের তহবিল (মারোত) টেকনাফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বাবু ঝুন্টু বড়ুয়ার।
নাম ঠিকানা জেনে তিনি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হালিমার ছেলে ফারুকের সাথে যোগাযোগ হয় ঝুন্টু বাবুর। পরে ফারুক চলে আসে টেকনাফের নোয়াপাড়ায়। গভীর রাত হয়ে যাওয়াই সাবরাং বাজারের চায়ের দোকানের বেঞ্চে রাত্রিযাপন করে পরেরদিন সকাল বেলা দেখা হয় ঝুন্টু বাবুর সাথে। এদিকে ফারুক আসার আগে এক ফাঁকে হালিমা আবার উধাও হয়ে যায়। ফারুককে তিনদিন টেকনাফ রেখে হালিমাকে খুঁজতে থাকে মারোতের নিরলস কর্মিরা। অবশেষে মাকে খুঁজে না পেয়ে চলে গেলো ফারুক। ফারুক যাওয়ার পরপর সেই দিন সন্ধ্যা বেলা হালিমাকে নয়া পাড়া এলাকায় পেয়ে যায় মারোতের সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া। আবার হালিমার ছেলেকে খবর দিয়ে এনে আজ রবিবার হালিমাকে তার বড় ছেলে ফারুক (১৮) এর কাছে নগদ অর্থ সহ হস্তান্তর করা হয়।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল বলেন এ নিয়ে ২৬ জন মানসিক রোগিকে তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে মানসিক রোগিদের তহবিল (মারোত) নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
হস্তান্তর কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম, সংগঠনের সভাপতি আবু সুফিয়ান সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজু পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, সদস্য কামাল হোসেন, ছমুদা বেগম, মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিক আরাফাত সানি ও মুন্না প্রমুখ।
Leave a Reply