বিশেষ প্রতিবেদক::
হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার সেই আলোচিত হত্যাকান্ডসহ বহু অপকর্মের হোতা জামালের অব্যাহত হুমকিতে এক কৃষক পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন।
২৩ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্র জানায়, পশ্চিম লেদার ভিলেজার মৃত শামসুল আলমের পুত্র নুরুল ইসলাম বন বিভাগের দেওয়া সরকারী জমিতে বসবাস এবং ভাড়া বাসা করিয়া ভোগ দখল করিয়া আসছে। গত ২১ আগষ্ট স্থানীয় মৃত হায়দর আলীর পুত্র জামাল হোছন, তার পুত্র হামিদ হোছন এবং দেলোয়ার হোছন মিলে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া নুরুল ইসলামকে না দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদান করে। বিষয়টি ভাড়াটিয়াদের নিকট হতে অবগত হয়ে তাদের নিকট কারণ জানতে চাইলে এসব ভাড়াবাসা চালাতে গেলে তাদের টাকা-পয়সা দিতে হবে অন্যথায় অপহরণ ও খুনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে তাদের গ্রুপটি নুরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। এমনকি তারা চাষাবাদ করার সময় ভীতি প্রদর্শন করছে। এখন নুরুল ইসলাম গং এই আলোচিত জামাল হোছনের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। ভূক্তভোগী এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশন দেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাত ডাকাত জামাল জমিজমা বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার এবং দীর্ঘদিন ধরে গ্রæপিংয়ে জিইয়ে থাকা লোকজনের উপর হামলা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রতীকার চেয়ে আবেদনের জের ধরে ৩১ আগষ্ট বিকেলে উক্ত সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শাবনুর ও নুরনাহার নমের দুজন নারীকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। পরে তাদেরকে হাত পা বেঁধে বাড়ী হতে ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ন ডাকাতি করে নিয়ে যায় এ ঘটনায় জামাল হোছেন, হামিদ হোছেন ও দেলোয়ার হোসেন এর নামে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় জনসাধারণের মতে,জামাল ডাকাত একজন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তি। সে বিভিন্ন স্থানে মারামারী, জবর-দখল এবং অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকে।এলাকায় জামাল ও তার পরিবারের ভয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনসাধারণ আতংকে থাকেন। তাদের অপকর্ম বন্ধ করে এলাকায় শান্তি-শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply