সংবাদ দাতা
পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে জাতিগত সহিংসতা শুরু হলে প্রাণ রক্ষার্থে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন টেকনাফ উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে। দীর্ঘদিন অবস্থানের পর যখন দেশের মানুষের সাথে জানাশোনা হচ্ছে, তেমনি মায়ানমারে থাকতে গোষ্ঠীগত বা ব্যক্তিগত আক্রোশ গুলো দিন দিন বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত গুম খুন থেকে শুরু করে শিকার হতে হচ্ছে দীর্ঘ নির্যাতনের। তার সমাধান কখন পবে তার উত্তর এখনো খুঁজে পাচ্ছেন না কুতুপালং ক্যাম্পে বসবাসরত এ ব্লকের -০১ রোম নং ০১এর নুর জাহান। তাহার স্বামী মায়ানমারের নেচার আহাম্মদের ছেলে মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ কুতুপালং রেজিস্ট্র ক্যাম্প এম আর সি 45531 সেট০১ এবং রুম নং ০১ সেই বিগত তিন বছর সাত মাস ধরে কারাগারে ছিল। কিন্তুু সে দেশের প্রচলিত আইনে গত ২৫ /০৭/২০২০ ইং কারাগার থেকে মুক্তি পাই। মুক্তির পর সে কুতুপালং রেজিস্ট্রার নিজ পরিবারের সাথে স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করছিল। এমতা অবস্থায় তাকে গত ২৬/০৮/২০২০ইং বাড়ি থেকে হামিদ নামের এক জন ব্যক্তি তোমার সাথে সামান্য কথা আছে বলে( মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ) কে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরেও আবুল কালাম আজাদ বাড়িতে ফিরে না আসায় তাহার স্ত্রীর মনে সন্দেহ হলে, হামিদের বাসায় খোঁজ নিতে যান নুর জাহান। স্বামীকে সেখানে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, হামিদের সাথে খায়রুল আমিন (প্রকাশ বেজ্জাল্ল্যাহ) সহ কয়েকজন লোক ঝগড়াঝাঁটি দিয়েছিল সেটা শুনেছি। পরবর্তীতে তারা কোথায় গেছে আমরা জানি না। তাই আবুল কালামের স্ত্রী নুরজাহানের ধারণা, হামিদের নেতৃত্বে কয়েকজন আরসা সদস্য মায়ানমারে থাকতে আমার স্বামীকে তাদের সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য জোর করে, পরে তিনি সম্মতি না হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেই থেকে আমার স্বামী মায়ানমারে তাদের কাছ থেকে গা ডাকা দিয়ে থাকতো। পরবর্তীতে আমরা কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে আছি খবর নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে গায়েব করে ফেলেন। লোকের মুখে শুনতে পারছি যে, মায়ানমারে পালিয়ে থাকা আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহর নেতৃত্বে রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান রত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ খায়রুল আমিন, কলিম উল্লাহ, সৈয়দ আকবর, মোহাম্মদ সাবের,মীর আহাম্মদ, মাস্টার কায়সার, মোহাম্মদ রফিক, মোঃ জুবায়ের, নুরুল ইসলাম, জাহিদ হোসাইন, জাহিদ হোসন সহ ১০/১২জনের দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন হলেও তাকে জীবিত বা মৃত কোন রকমের সন্ধান পাচ্ছি না, তাই দেশের শরণার্থী আইন অনুযায়ী কুতুপালং ক্যাম্পে সিআইসির কাছে তাহার সন্ধানে একটি দরখাস্ত পেশ করি। যদি জীবিত বা মৃত সন্ধান পেয়ে থাকেন কুতুপালং রেজিস্টার্ট ক্যাম্পের এ ব্লকের বি ০১ বা রোম নং ০১ এ স্ত্রী নূর জাহান বরাবর বা দায়িত্বরত কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
Leave a Reply