মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের মাঝের পাড়া এলাকায় স্বামী মনির উল্লাহ হত্যার বিচার চেয়ে তার স্ত্রী ইসমাত আরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। (শনিবার) ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে শনিবার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার নিহত মনির উল্লাহর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইসমাত আরা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি সাগরে মাছ শিকার করে সংসার চালাতেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি আমার স্বামী সাগর থেকে মাছ শিকার করে মাঝের পাড়া জেলে ঘাটে আসলে ডাংগর পাড়া এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন, একই এলাকার জহির আহম্মদের ছেলে ইলিয়াছ প্রকাশ ফারুক, মৃত ভেলু মিয়ার ছেলে মো. হালিম, মৃত ইউসুফ এর ছেলে মো. ফরিদ, কবির আহমদ প্রকাশ গাদ্দা কবিরের ছেলে মো. আলম, রশিদ আহমদের তিন ছেলে মো. ইউনুছ, মো. জলিল, মো. আয়াছ, নুরুল আমিন প্রকাশ পানছা কালু, মৃত আব্দুল মতলব এর দুই ছেলে মো. জাহাঙ্গীর, মো. আলম, কবির আহমদ প্রকাশ গাজা কবির এর ছেলে জাহাঙ্গীর, মৃত আহম্মদের ছেলে কবির আহমদ, মোক্তার আহমদ এর ছেলে ছৈয়দ আলম প্রকাশ কলালু, মাঝের পাড়ার এলাকার ইউসুফ জালাল এর ছেলে রাশেদসহ আরো অনেকে আমার স্বামীকে দা, কিরিচ দিয়ে সকালে প্রকাশ্যে হত্যা করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। আমার মামলা দায়েরের প্রায় ৭ মাস হলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করছে না।
এবং মামলার চার্জশিট আদালতে প্রেরণের জন্য স্থানীয় দালাল গফুর, নজির আহমদ, করিম উল্লাহ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ দীপক বিশ্বাসের সামনে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা চেয়েছে। বাদি টাকা দিতে অনিহার প্রকাশ করলে মামলা থেকে ৮ জন আসামীকে চার্জশিট থেকে বাধ দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়িতে এসে আমার স্বামীর হত্যাকান্ডে জরিত ব্যক্তিদের মামলা থেকে বাধ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। এবং পুলিশ দিয়ে অন্য মামলার আসামী করার হুমকি দিচ্ছে। অপরদিকে আসামি পক্ষ আমাদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাকে ও আমার ছোট পুত্রসন্তানকে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি অবিলম্বে আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পিতা মনির আহমদ, বোন আয়েশা, রশিদ উল্লাহ, উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে সাবরাং ইউপি ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আমিন জানান, শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকায় মনির উল্লাহ ছেলেটি খুব ভাল ছিল, সেই সাগর থেকে মাছ শিকার করে ঘাটে আসা মাত্র দা, চুরি, কিরিচ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী কাছ থেকে শুনিছি। বিষয়টি দুঃখজনক হত্যাকান্ডে জরিত লোকজনকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হউক।
মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদান এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে শাহপরীরদ্বীপ ফাঁড়ীর ইনচার্জ দীপক বিশ্বাস বলেন, আমরা আসামি গ্রেপ্তার করছি না এ কথাটি সত্য নয়। হত্যাকান্ডে জরিত অনেকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার এস আই কামরুজ্জামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রিচিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply