নিজস্ব প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক মরহুম আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন আহমেদ এর স্মরণে ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজে সকাল ১১ ঘটিকার সময় স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম তৌহিদুল মাশেক তৌহিদ এর সভাপতিত্বে মিনহাজ উদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। তে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ।স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের সম্মানিত ট্রাস্টি আবুল কালাম আযাদ।বিশেষ অতিথি অনলাইনে যুক্ত ছিলেন হেলাল উদ্দিন আহমদ সেক্রেটারি মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, ফখর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, সম্মানিত ট্রাস্টির মধ্যে ছিলেন আলা উদ্দিন আহমদ রাশেল , ড. মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরী সহযোগী অধ্যাপক চবি, কামাল হোসাইন সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ইংরেজি বিভাগ সরকারি কমার্জ কলেজ চট্টগ্রাম, ডা: এ কে এম রেজাউল করিম বিভাগীয় প্রধান ,শিশু বিভাগ চমেক, ডা: জামাল আহমদ বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠাতা গুহাফা, মোহাম্মদ ইউসুফ ম্যানজার যমুনা ব্যাংক জুবলি রোড, আইমান আহামেদ, ড. কামাল উদ্দিন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নগর পরিকল্পনা বিদ, জহির আহামদ যুগ্ন সচিব ধর্ম মন্ত্রণালয়, নুরুল মোস্তফা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী, ফজলুল কাদের চৌধুরী অফিসার ইনচার্জ বিশেষ শাখা চট্টগ্রাম জোন বাংলাদেশ পুলিশ। উপস্থিতিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি কায়ছার উদ্দিন,হাজ্বী এমদাদ উল্লাহ, ইব্রাহিম খলিল। গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আলী মেম্বার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ, মাস্টার জাফর উপস্থিত ছিলেন মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ট্রাস্টি বৃন্দ, কলেজের প্রভাষক -প্রভাষিকা, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, তিনি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তা নাহলে আজকের এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও করোনা মহামারির সময়ের মধ্যেও এত জ্ঞানী-গুণী ও গণ্য-মান্য ব্যাক্তি বর্গ তাঁর স্মরণসভায় থাকতো না। আপনারা তার নীতি ও নৈতিকতাকে অনুসরণ করুন। মানুষকে ভালবাসার মধ্যে রয়েছে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার আমাদের বুঝতে হবে সমাজ যদি সার্বিকভাবে উন্নতি না হয়,তবে নিজে এককভাবে শত সম্পদশালী হলেও সে জীবন বা সমাজ কখনোই সুখকর হতে পারে না। যতদিন না আমাদের চারপাশের মানুষ তথা সমাজের প্রত্যেক একে অন্যের প্রতি কর্তব্য পরায়ন ও স্বার্থত্যাগ করতে না পারি। ততদিন পর্যন্ত সমাজের কল্যাণ আশা করা যায় না। তার স্বার্থত্যাগ মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে সমাজের কল্যানে তিনি ছিলেন পাড়া প্রতিবেশী তথা পরিজনদের সুখ দু:খের আশার প্রেরণার বাতিঘর। স্বার্থপরতার যুগে যারা সমাজের জন্য কাজ করেন তাদের অবশ্যই সম্মান ও স্বীকৃতি পাওয়া বাঞ্চনীয়। কারন মানুষকে ভালবাসার মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে মুনাজাত পরিচালনা করেন ট্রাস্টি মোহাম্মদ আবুল কালাম আযাদ সহকারি অধ্যাপক। মুনাজাতের পর মরহুমের কবরে জিয়ারত, এতিম ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
সর্বশেষে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক মরহুম আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন আহমেদ এর সংক্ষিপ্ত জীবন পরিচয় তুলে ধরেন।
জন্ম, শৈশব ও শিক্ষা :মরহুম আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন আহমেদ ১৯২৯ সালে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হ্নীলা ফুলের ডেইল গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা খলিলুর রহমান ও মাতা নবীন সোনার ছয় ছেলে এবং ছয় মেয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। শৈশব থেকে পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহ থাকার কারণে পরিবারের আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও পিতা -মাতা তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। হ্নীলা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ঈদগায় নিম্ন মাধ্যমিক পযর্ন্ত পড়াশোনা করেন। উখিয়ার রাজাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়ন রত অবস্থায় তিনি পিতৃ হারা হন। কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে নিজের প্রচেষ্টায় তিনি ১৯৫৪ সালে উখিয়ার রাজাপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্ত্বের সঙ্গে মেট্রিক পাশ করেন। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হলেও আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে কলেজ জীবন তাঁর দীর্ঘায়িত হয়নি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাধ্য হয়ে তাকেঁ শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com