1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বোচ্চ দামে নিলাম পেলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিআইপি টেকনাফে ৭০ হাজার মানুষ বেকার- কর্মহীন : জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে টেকনাফের হ্নীলাতে নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন টাকা লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর থানায় অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স টিমে যোগ দিলেন সাংবাদিক হাফেজ আহমদ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন টেকনাফে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার পলায়ন হয়রানী মূলক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ৫ শিশুর মা! হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের যুব সমাবেশ অনুষ্টিত টেকনাফে জমি বিরোধের জেরে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে স’ন্ত্রা’সী সাজানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখা’র সদর ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন। বন্যার্ত ৫’শ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গাদের দখলে টেকনাফ শ্রম বাজার : মাদকসহ অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি |টেকনাফ একাত্তর

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে
আবুল কালাম আজাদ,আরাফাত সানী::টেকনাফ থেকে       
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত কক্সবাজার জেলার সীমান্ত  উপজেলা টেকনাফের শ্রম বাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছ রোহিঙ্গারা। ফলে করোনা কালিন সময়ে টেকনাফের নিম্ন আয়ের লোকজন চরম দূর্ভোগে দিন পাতিত করছে। সীমান্ত উপজেলার টেকনাফের কয়েকজন শ্রম জীবি লোকজন জানিয়েছেন- গত মার্চ থেকে আরম্ভ করে জুলাই পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাস চরম আকার ধারণ করায় সরকার প্রতিটি এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করে।

এ সময়ে নিম্ন আয়ের লোকজন পড়ে যায় মহা বিপদে। একদিকে সংসারের ব্যয়ভার বহন অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠা কারী সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনার সামান্য উন্নতি হলে সরকার লকডাউন শিথিল করে। তখন নিম্নআয়ের লোকজন আশার বুক বেঁধে কাজের সন্ধানে এলাকায় বের হয়ে দেখতে পায় শ্রমিকদের আয়ের খাত সম্পন্ন রোহিঙ্গা নাগরিকদের দখলে। এই নিয়ে আরো বিপদে পড়ে যায় তারা সাধারণ মানুষ।

টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় সাগরের ফিশিং বোটের মাঝি মাল্লা, করাত কলের শ্রমিক, হোটেল বয়, দোকানের কর্মচারী, গাড়ির হেলপার, স্থল বন্দর শ্রমিক, গ্রামীন অবকাঠামো নির্মাণে নিয়োজিত শ্রমিক, এনজিওদের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, এমনকি বাড়ির কাজে নিয়োজিত দাস-দাসী পর্যন্ত রোহিঙ্গা নাগরিকদের দখলে।
কয়েকটি শ্রমিক প্রতিষ্ঠানে মালিকদের সাথে  রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান স্বল্প বেতনে অল্প খরচে রোহিঙ্গা শ্রমিক প্রতিটি এলাকায় পাওয়া যায়। দেশীয় শ্রমিকদের চেয়ে তারা বিরামহীন ভাবে কাজ করে। খাবার-দাবার যা দেওয়া হয় তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করো না। এমনকি কোন বিষয়ে রোহিঙ্গা শ্রমিক কঠোর কথা বললে যখন তখন বেতন ছাড়া চাকরিচ্যুত করা যায়।
এই রোহিঙ্গা নাগরিকেরা কোন অনুমতি ছাড়া
ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিভিন্ন যানবাহন যোগে    টেকনাফে এসে বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিচরণ করে।স্হানীয় লোকজন রাত ১০ হতে ১২ মধ্যে বাড়িতে অবস্থা নিলেও কিন্তু এই রোহিঙ্গা নাগরিকেরা সকাল পর্যন্ত তাদেরকে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এই সুযোগে চাকরী পাওয়ার সুবাদে প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা নাগরিক রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চলে এসে টেকনাফ পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিচ্ছে। এখানে এসে বিভিন্ন ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে। এখানে বসে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও অসামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে স্বল্প বেতনে দেশের অভ্যন্তরে ইয়াবা বহন, পতিতাবৃত্তি, হত্যা, রাহাজানি, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সময়ে ইয়াবার বড় বড় চালানের সাথে নিয়োজিত থাকায় রোহিঙ্গা নাগরিক আটক হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে রোহিঙ্গা নাগরিকেরা।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আগমনের পর হতে সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এদের সুনির্দিষ্ট স্থানে আবাসন, খাদ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে যথেষ্ট পরিমান সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্যকারী সংস্থা এনজিওদের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকেরা ক্যাম্পের বাহিরে বিচরণ না করার নির্দেশনাও রয়েছে। এরপরেও এ রোহিঙ্গা নাগরিকেরা ক্যাম্পের অনুমতি তোয়াক্কা না করে ক্যাম্পের বাইরে অবাধ বিচরণ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট কাজে সর্বদায় নিয়োজিত রয়েছে। এই রোহিঙ্গা নাগরিকেরা আস্তে আস্তে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থান চিহ্নত করে প্রভাবশালী লোকজন দের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে নিজেই অপরাধ জগতে পা রাখে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এই সব রোহিঙ্গা নাগরিকদের ব্যপারে কোন ধরনের নজরদারি না থাকায় টেকনাফে অপরাধ প্রবণতাসহ ইয়াবার ব্যবস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে টেকনাফের স্বল্পআয়ের লোকজন অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করবে বলে সচেতন লোকজন জানান।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফেজুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমিও শুনেছি শীঘ্রই এ বিষয়ে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর