মুদির দোকানের আড়ালে ইয়াবা রমরমা বাণিজ্য |টেকনাফ একাত্তর

আপডেট সময় : রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
৪২০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক, টেকনাফ

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন শিল বানিয়া পাড়ার গ্রামে মোদির দোকানের সাইনবোর্ডে দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এক একশ্রেণীর ইয়াবা সিন্ডিকেট।

সাম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিংহা হত্যার পর পুলিশিং কার্যক্রম কিছুটা স্থবির হয়ে পরে। এই সুযোগকে পুঁজি করে এই চক্রটি ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে।

জানা যায় সন্ধ্যা পর হলেই টেকনাফ শিলবনিয়া পাড়ার মজসজিদ মার্কেটের ভাই ভাই স্টোর নামে

এই মুদির দোকানে প্রতিদিন সামনে বহিরাগতদের আসা-যাওয়া। দোকানে চা-পান খাওয়া সাথে সাথে ইয়াবা কেনাবেচা শুরু হয় বলে জানান স্হানীরা।

এলাকাবাসী সুএে জানা যায় বিগত ১ সাপ্তাহ আগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মুদির দোকানের মালিক আমিরা বাদ লোহাগাড়া আব্দুল হামিদের পুএ জাহেদ হোসেন (২৪) তিনি ও তার সিন্ডিকেটের সদস্য রফিকসহ দীর্ঘ দিন ধরে এই মরণ নেশা ইয়ার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ প্রবেশ করে বিক্রি করার অভিযোগে মুদির দোকানের মালিক জাহেদসহ তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের খুঁজে বেড়াচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাকাবাসীরক জানান, প্রকাশ্যে প্রতিবাদ গেলে তার সিন্ডিকেটের ইয়াবা গডফাদাররা আমাদের ভয়ভীতি দেখায়। শিলবনিয়া এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব মাদকের ব্যবসা পরিচালনায় সাথে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাই না। তবে ইতি মধ্যে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের এলাকায় গিয়ে তাদের খুঁজ নিয়েছে বলে এলাকা বাসি সূত্রে জানা যায়।

সুত্রে আরো জানা যায় জাহেদ মূলত আমিরাবাদ লোহাগাড়া বাসিন্দা সে ইয়াবা ব্যবস্যা সুযোগ নেওয়ার জন্য টেকনাফে এসে মুদির দোকান সাইনবোর্ড ব্যবহার করছে। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা করে হলে তলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে জানান এলাকা বাসি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুদির দোকানে মালিক জাহেদ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন।

টেকনাফ মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মুস্তফা জানান, এই বিষয়টি আমি সবেমাত্র শুনেছি। সে যদি প্রকৃত মাদকের সাথে সম্পৃক্ততাকে তদন্তপূর্বক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।