1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বোচ্চ দামে নিলাম পেলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিআইপি টেকনাফে ৭০ হাজার মানুষ বেকার- কর্মহীন : জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে টেকনাফের হ্নীলাতে নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন টাকা লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর থানায় অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স টিমে যোগ দিলেন সাংবাদিক হাফেজ আহমদ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন টেকনাফে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার পলায়ন হয়রানী মূলক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ৫ শিশুর মা! হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের যুব সমাবেশ অনুষ্টিত টেকনাফে জমি বিরোধের জেরে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে স’ন্ত্রা’সী সাজানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখা’র সদর ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন। বন্যার্ত ৫’শ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিলে ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকারের ধুম |টেকনাফ একাত্তর

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

ওবাইদুল হক চৌধুরী,উখিয়া থেকে

উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের হাইজ্জা খ্যাত” মাছকারিয়ার বিলে (ধানী জমিতে) ফাঁদ পেতে বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও শিকার করা হচ্ছে। এসব পাখি প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজারে। প্রতিদিন অবাধে পাখি শিকার করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন শিকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় শিকারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। শিকারির ফাঁদে আটকে আছে সাদা বক। ফলে পরিবেশ সঙ্কটাপন্নের মুখে পড়েছে। জানা যায়, উখিয়ার মাছকারিয়া বিলের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ জাল ঘাসের ওপর ফাঁদ পেতে রেখেছে শিকারিরা। এসব জালের কাছাকাছি জঙ্গল দিয়ে ছোট ছোট ঝুঁপড়ি ঘর বানিয়ে সাদা বক নিধন করা হচ্ছে। প্রতিটি ঝুঁপড়ি ঘরের ২-৩ গজের মাথায় ঘাসের ওপর পাতা জালের দু’পাশে বাঁশ বেঁধে বাঁশের সঙ্গে রশি বেঁধে রাখা হয়েছে। জালের আশপাশে দুর দুরান্ত থেকে উড়ে আসা বকদের শিকার করতে উন্মুক্ত জলাশয় ও বিলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু গৃহপালিত বককে। গৃহপালিত বকদের উন্মুক্ত স্থানে দেখে সারি সারি বক ও অন্যান্য পাখির ঝাঁক নেমে আসে তাদের কাছে। উড়ন্ত পাখির ঝাঁক জালে বসার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁপড়ি ঘরে থাকা শিকারি দুর্বৃত্তরা রশিতে টান মারে। এসময় জালের দু’পাশে থাকা বাঁশ দুটো ঘুরে একটি আরেকটির ওপর পড়ে। এতেই জালের ওপর বসা বকসহ অন্য পাখিরা সহজেই শিকারি দুর্বৃত্তদের জালে আটকা পড়ে। এভাবে বছরের পর বছর পাখি শিকারীরা দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখিসহ অতিথি পাখি শিকার করে উখিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। গ্রামবাসী মো হোছন, খালেদা বেগম, গুরা মিয়াসহ অনেকেই বলেন, প্রতিদিন কয়েকশ’ বক পাতা ফাঁদে আটকা পড়ে সেগুলো প্রতিটি ৫৫-৬০ টাকা হারে বিক্রি হয় বাজারে। সাদা বক খুবই স্পর্শকাতর ও লজ্জাবতি।

এরা রোদের গরম সহ্য করতে পারে না। তাই খুব ভোর (সুর্যদয়ের আগে) সময় খাদ্য অণ্বেষণে বেরিয়ে পড়ে। সূর্য ওঠার আগেই এরা চারণ ক্ষেত্রে পাশে ঝোপজঙ্গলে, ঘাসের আঁড়ালে ঘাপটি মেরে থাকে। দিনে বকদের তেমন দেখা যায় না। তবে পড়ন্ত বিকালে এদের দেখা যায়। এমন নিরীহ প্রাণীকে শিকার করা খুব কষ্টকর। এভাবে পাখি নিধন অব্যাহত থাকলে বক বিলুপ্ত হয়ে যাবে। স্থানীয় মাছকারিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদু রহিম জানান,মাছ, ধান ও প্রাণিকূল সমৃদ্ধ খালবিল জলাশয়গুলোতে যুগ যুগ ধরে অতিথি পাখির আনাগোনা চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ কতিপয় পেশাদার অবৈধ পাখি শিকারি নির্বিচারে পাখি শিকার অব্যাহত রাখায় অতিথি পাখির অস্তিত্ব চিরতরে হারিয়ে যেতে বসেছে। উখিয়া রেঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অতিথি পাখী শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাটবাজারে বন বিভাগের লোকজন অতিথি পাখি বিক্রি হচ্ছে কিনা এমন তথ্যের ভিত্তিতে অতিথি পাখী শিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর