বিশেষ প্রতিবেদক
সাবরাং ইউপির কাটাবনিয়ায় একজন গাড়ি ব্যবসার কথা বলে টাকা নিয়ে ফেরৎ না দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হল সাবরাং কাটাবনিয়া ৩ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমানের ছেলে জিয়া উদ্দিন প্রকাশ বাবলু। কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট ৪ নং আদালতে ফৌজদারী মামলার বাদী সাবরাং পুরান পাড়ার মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে আজিম উদ্দীন রাসেল(৩১) এর সূত্রে জানা যায়, তার থেকে টাকা নেওয়ার পরে যখন সে টাকার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে অনেকবার যায় তখন সে একজন পাওনাদার থেকে প্রাপ্য টাকার সমপরিমাণ বাবদ একটি এবি ব্যাংকের চেক তাকে দেয়।
যা বাদী নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা দিলে চেকটি অভিযুক্ত বাবুলের একাউন্ট কর্তৃক ডিজঅনার করা হয়। ডিজওনারের বিষয়টি বাদী তাকে জানালে সে টাকা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে পাওনাদার আজিম উদ্দিন রাসেল কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৪ নং আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নাম্বার হল ৭১৮/১৯ তারিখঃ ১৫/১০/২০১৯ ইংরেজী। এবং বিজ্ঞ আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধার্য সময়ে হাজিরা না দেওয়ায় গত ০৯/১২/১৯ তারিখে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা পাওনাদার বাদীকে একাধিকবার হুমকি ধমকি গুম করবে মেরে ফেলবে বলে সে ও তার আত্বীয়স্বজন মিলে প্রকাশ্যে প্রানণাশের হুমকি দেয়। পরে জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে আমি টেকনাফ থানায় সেটা জিডি আকারে নথিভুক্ত করলাম। যার জিডি নাম্বার হল ১০৬৬ তাং ২৯-০৯-২০২০ ইংরেজী। তাছাড়া সে বিভিন্নজনের কাছ থেকে গাড়ি ব্যবসার কথা বলে টাকা আত্বসাৎ করেছে। মূলত টাকা আত্বসাৎ করাটাই হল তার মূল পেশা। সে আরও টাকা নিছে এ রকম কয়েকজনের সাথে প্রতিবেদকের কথা হয়। একজন হল পল্লান পাড়ার রাসেল। আরেকজন হল গফুর আলম তিনি কাটাবনিয়ার। তারা বলেন, সে বিভিন্ন অসাদুপায়ে লোকজন থেকে টাকা নেয়। কিন্তু পাওনা খুজতে গেলে হয়ে যায় বাকবিতন্ডা। তাছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি আরও বলে সে নাকি মামলাকে ভয় পায়না। এ রকম মামলা তার অনেক আছে। এছাড়া তার কয়েকটা হুমকিস্বরূপ অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিয়া উদ্দিন প্রকাশ বাবলুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply