প্রেস বিজ্ঞপ্তি:–
“পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মাত্র তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ঘাতকরা ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় চার নেতাকে নির্মম এবং নৃশংসভাবে হত্যা করে।”- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ, টেকনাফ উপজেলা ও পৌর শাখার যৌথ উদ্যোগে ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম জাতীয় চার নেতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পৌরসভার শাপলা চত্বরস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন- মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু দেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরণের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
এসময় তিনি আরও বলেন- বাঙ্গালীকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্যই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই আজ দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র তত গভীর হচ্ছে। শেখ হাসিনা সকল হত্যার বিচার করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এসমস্ত অপশক্তিকে রুখে দিতে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার আদর্শ অনুসরণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল আমিন, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল ফারুক, সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম নুরু, সাঃ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাঃ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীম বাবলু, টেকনাফ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিক আলম শকু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিকদার প্রমুখ।
এর আগে শোকাবহ জেল হত্যা দিবসটিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
Leave a Reply