জাকারিয়া আলফাজ, টেকনাফ
নাফনদে মাছ ধরতে গিয়ে অপহৃত বাংলাদেশী মাছ ধরার ট্রলারসহ নয়জন জেলেকে এখনো ফেরত দেয়নি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। ঘটনার একদিন পার হওয়ার পরও স্বজনদের ফেরত না পেয়ে জেলে পরিবারে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
জানা যায়, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে নয়জন জেলে সেন্ট মার্টিনসের উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। এসময় ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নাফনদে চলে আসে। ১০ নভেম্বর মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যরা ট্রলারটি লক্ষ্য করে ধাওয়া করে। কিন্তু ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় মুহুর্তে তারা বিজিপির হাতে ধরা পড়ে। বিজিপি সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে মিয়ানমার হাচ্ছুরতা সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যায়। জেলেরা হলেন শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মাঝি নুরুল আলম, মো. ইউনুছ, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াছ, মো. আলম, ছলিম উল্লাহ, নুর কামাল, মো. সৈয়দ ও সাইফুল ইসলাম। তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরিক।
মাছ ধরার ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আমিন জানায়, তার ট্রলারটি নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা একটি বোট নিয়ে এসে ট্রলারটি ধরে তাদের সীমান্তে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি অন্য জেলেদের মাধ্যমে জেনে তাৎক্ষণিক বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করেছি।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান খান বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ফেরত চাওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনো তাদের চূড়ান্ত সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে জেলেদের দ্রুত ফেরত পেতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অপহৃত জেলে মো. আলমের মা হাসিনা বেগম বলেন, গত বছর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে স্বামীকে হারিয়েছে। গত মঙ্গলবার মাছ ধরতে গিয়ে ছেলেকেও মিয়ানমার বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমি বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার ছেলেকে ফিরে পেতে সরকারের কাছে সাহায্য চাচ্ছি।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com