আমিরুল ইসলাম মো:রাশেদ ::
কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার মো: হারুন অর রশিদ (৫০) দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বাঁচতে হলে তাকে যেভাবেই হোক একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু কে দেবে তাকে একটি কিডনি। এই অবস্থায় চোখে-মুখে যখন অন্ধকার দেখছিলেন তার পরিবার। ঠিক তখনই আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী।
নিজের জীবনের কথা না ভেবে স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দিয়েছেন তিনি। স্বামীর প্রতি ভালোবাসার অনন্য এই দৃষ্টান্ত গড়েছেন শামছুন্নাহার (৪০)। স্ত্রীর দেওয়া কিডনি সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালে আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে হারুন অর রশিদের দেহে প্রতিস্থাপন করার কথা রয়েছে। ইতিপূর্বে যাবতীয় প্রসেসিং শেষ করা হয়েছে ।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকে সবার প্রসংশায় ভাসছেন শামছুন্নাহার। পঁচিশ বছর আগে ওই এলাকার মৃত করিম উল্লাহর ছেলে মো: হারুন অর রশিদের সাথে তাঁর বিয়ে হয় । স্বামী হারুন অর রশিদ পেশায় ঠিকাদার।তিনি বর্তমানে ঠিকাদার সমিতি শিক্ষা দপ্তর কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক।
পারিবারিক জীবনে তাদের দুইমেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এদিকে গত কয়েক বছর থেকে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন হারুন অর রশিদ। সম্প্রতি পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে তার দুটি কিডনি একেবারে নষ্ট হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এই অবস্থায় বাঁচতে হলে তাকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। স্বামীর দুটি কিডনি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন তার স্ত্রী শামছুন্নাহার।
এদিকে কে দেবে স্বামীকে কিডনি এই কথা ভেবে তিনি যখন চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছিলেন। ঠিক তখনই স্ত্রী শামছুন্নাহার জানালেন তাঁর স্বামীর জীবন বাঁচাতে তিনি তাঁকে একটি কিডনি দিতে চান। এরপর ওই হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুজনের কিডনি মিলে যায়।
গতকাল মোবাইলে মো: হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,সংসার জীবনে তারা সুখে শান্তিতে একে অপরের সহযোগিতায় কাটাচ্ছিলেন ।হঠাৎ তিনি অসুস্থ হলে কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। এর প্রেক্ষিতে তার স্ত্রী কিডনি দিয়ে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।##
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com