অনলাইন ডেস্ক
ফের মালয়েশিয়ার মাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার মাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ কাউন্সিল’ (এসআরসি) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে আবারও জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী বশির ইবনে জাফর। এ নিয়ে তিনি দুইবার ভিপি হলেন।
২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সাত প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ৮১৩ ভোটে জয়ী হন তিনি। তার ভোট সংখ্যা ১৭৯২টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৪০৭ ভোট। এছাড়া বশির ইবনে জাফরের প্যানেলের ছয়জনের মধ্য থেকে পাঁচজনই বিজয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে বশির সমর্থিত অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে হাফিজ মুহাম্মদ উফাফ, ওয়েলফার ব্যুরো পদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফয়সাল সাদিক, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল ব্যুরো পদে মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থী আমিরা এবং স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনাল ব্যুরো পদে আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান জয়লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ভোট শেষে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় ইলেকটোরাল কমিটি কর্তৃক এ ফল প্রকাশ হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও সিনেটের অনুমোদন না পাওয়ায় ইলেকটোরাল কমিটি তা প্রকাশের জন্য নতুন দিন ধার্য করে। এর আগে গত বছর এ নির্বাচনে আট প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বশির এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এবারও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত বশির ইবনে জাফরের বাড়ি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। তার বাবা মাওলানা জাফর আহমদ কাসেমি জামালপুর জেলার জামেউল উলুম হাক্কানিয়া দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার মুহতামিম এবং মা গৃহিণী। তাদের বর্তমান নিবাস ময়মনসিংহ শহরে। কওমি মাদ্রাসা ও কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কুরআনের হাফেজও। ঢাকার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর স্কলারশিপে মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতে যান বশির। তার এ বিজয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা গর্বিত এবং তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জয়ের অনুভূতি জানতে চাইলে বশির বলেন, আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য প্রথমত সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, মালয়েশিয়ান এবং বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ দূর থেকে দেশ-বিদেশের সকল প্রিয় মানুষদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। এ বছর নির্বাচনে জয়ী হওয়াটা ছিল অনেক কঠিন। তা ছাড়া ফল পেতে অনেক দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফল প্রকাশ নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও ছিলো। সবকিছুর পর কাঙ্ক্ষিত ঘোষণাটি শোনা অবশ্যই আনন্দদায়ক। আমি কৃতজ্ঞ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের স্টাফদের প্রতি। মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর ডাকসুর মতো স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ কাউন্সিল (এসআরসি) নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেন্ট পদটি সংরক্ষিত রাখা হয়। বাকি ৮টি পদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজন করে এই এসআরসি নির্বাচন।
Leave a Reply