টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন বৃহস্পতিবার :
সাধারণ সম্পাদক পদে নিশানকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে
বিশেষ প্রতিবেদক
আসন্ন ২৫ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ উপজেলা ছাত্র লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২১ সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূল নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে সম্মেলনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী ও বর্তমান টেকনাফ সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সদস্য, সায়েদ আমিন নিশান।
তিনি একজন সম্ভ্রান্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ওনার পিতা মোহাম্মদ আমীন (ভুলু) ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ২০১৩-২০২০ পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতিসহ আওয়ামী রাশির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। টেকনাফ পৌরসভার নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর। যিনি
কক্সবাজার জেলাব্যাপী ছাত্র লীগের মহলে একজন সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নির্লোভ, সাহসী রাজনীতিবীদ হিসেবেও বেশ সুখ্যাতি রয়েছে তার।
ছেলে বেলা থেকেই অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও খুব সাহসী ছিলেন তিনি। লেখা পড়াতেও ছিলেন বেশ ভালো।
টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে তিনি প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ এবং টেকনাফ সরকারি কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পাশ করেন। বর্তমানে কক্সবাজার সরকারি কলেজে বি,বি,এ অধ্যায়নরত। স্কুল এবং কলেজে পড়াকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে ওতোপ্রতভাবে জড়িত হন তিনি। অন্তুভূক্ত হন জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে।
কলেজে পড়াকালীন সময়ে মাদক, সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদসহ বর্তমান সরকার দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি ও নৈতিকসহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি। সাথে সাথে নিজ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ গঠনে অবদানও রাখেন তিনি।
জেলা ছাত্র লীগের সদস্য দায়িত্ব পাওয়ার পর টেকনাফ উপজেলাতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচি সফলভাবে পালনের সাথে সাথে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই সম্মেলনেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দী হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন সায়েদদ আমিন নিশান।
২০১৩-১৪ সালে জামায়ত-বিএনপির সহিংসতা কালীন সময়েও রাজপথে থেকে নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি জামায়ত-বিএনপিকে প্রতিরোধের সর্বত্মক প্রচেষ্টা করেন তিনি। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিপরীতে কিংবা দলের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কোন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহন করেননি তিনি।
সম্মেলন প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও বর্তমান টেকনাফ সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ও সাবেক জেলা ছাত্র লীগের সদস্য ছৈয়দ নিশান বলেন, সব সময় কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফলভাবে পালন করে এসেছি এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নসহ তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করেছি। আমি চাই আগমী (২৫ ফেব্রুয়ারি) কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য নেতৃত্বকে নির্বাচিত করতে পারে। এতে করে প্রত্যেক প্রার্থীরা তাদের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানে নিজেদের জনপ্রিয়তা বুঝতে পারবে এবং টেকনাফ উপজেলা লীগের সুদৃড় মজবুত ভিত্তি স্থাপন হবে।
সায়েদ আমিন নিশান বলেন, ১৯৮০ সালের পরে টেকনাফ নামক এই জনপদে,যে গুটিকয়েকজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত করার জন্য কষ্ট করেছেন তার মধ্যে আমার শ্রদ্ধেয় পিতা একজন।
আওয়ামীলীগের দু:সময়ের একজন কর্মীর সন্তান হিসেবে,ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।
Leave a Reply