ইমাম খাইর, কক্সবাজার
মাদক উদ্ধারে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অপরাধে মোঃ শাহীন নামের যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি ও কুপাকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে ইয়াবা কারবারিরা।
তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মো. শাহীন কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার নয়াপাড়া এলাকার মৃত জহির আহমদ প্রকাশ জহির মেম্বারের ছেলে।
আহতের ছোট ভাই শাহী কামরান কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে এ খবর জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত সোমবার (৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বশির আহমদের বসতঘর থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শাহী কামরানের দাবি, ইয়াবা উদ্ধারে মোঃ শাহীন প্রশাসনকে সহযোগিতা করে।
ইয়াবার চালান আটকের পর পিএমখালী ইউনিয়নের ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পাগল প্রায়। তাদের পথের কাটা হয়ে দাঁড়ায় শাহীন। তাই ১১ মার্চ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ‘জরুরি কথা আছে’ বলে ডেকে ডিকপাড়া সড়কে নিয়ে যায়। ওখানে নিয়ে প্রথমে গুলি, তারপর কুপাঘাতে মারাত্মক আহত করে।
ঘটনার সঙ্গে নুরুল আবছার (২৫), নুরুল ইসলাম (২৮), পুতিয়া (১৮), সাদেক (২৫), আজিজুল হক (৩২), ছৈয়দ নুর, মুবিন (২৫) আয়াত উল্লাহ (২০), জাহাঙ্গীর ভন (৩৫)সহ আরো অন্তত ৫ থেকে ৬ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন ভিকটিম শাহীন।
শাহী কামরান জানান, প্রধান অভিযুক্ত নুরুল আবছার অস্ত্র, ইয়াবা ও ইয়াবা ছিনতাইয়ের মামলার আসামি। তার একটি অপরাধ সিন্ডিকেট রয়েছে।
পিএমখালী স্লুইচ গেইটে আবছার সিন্ডিকেটের একটি অবৈধ করাতকল রয়েছে।
আহত মো. শাহীন
সাদেকের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। সে নারী নির্যাতন মামলার আসামি। তার পরিবারে বিগত ৫ বছরে অর্থনৈতিক অসাধারণ পরিবর্তন ঘটেছে। যা আলাদীনের চেরাগের গল্পকেও হার মানাবে বলে জানিয়েছেন শাহী কামরান।
মাদক কারবারি ও অপরাধি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।
তবে, আহত মো. শাহীনের বিরুদ্ধেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, গত সোমবার রাতে পিএমখালীতে ডিবি পুলিশের মাদক উদ্ধার অভিযানের পূর্বেই পালিয়ে যায় শীর্ষ কারবারি বশির আহমদ।
সে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি জারুলিয়া ছড়ি উপর পাড়ার মৃত গোলাম শরিফের ছেলে।
দীর্ঘ দিন ধরে সে পিএমখালীতে ভাড়া বাসায় থাকতো। সেখানে গড়ে তুলে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট। যা দীর্ঘ দিনের অনুসন্ধান ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় প্রশাসন।
অভিযানের দিন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছিলেন, বশির আহমদ একজন শীর্ষস্থানীয় মাদক কারবারি। কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় সে মাদক পাচার করে আসছিল। গোয়েন্দা পুলিশ সঠিক তথ্য নিয়ে অভিযান চালায়।
সে পালিয়ে গেলেও তাকেসহ অন্যান্য সহযোগিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান এসপি মো. হাসানুজ্জামান।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com