মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহা সড়কের টেকনাফ পৌরসভা অংশের সড়কের বেহাল দশা! তৎমধ্যে শাপলা চত্বর হয়ে নেটং উঠনি পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যা অতিথের গর্ত ছিল ছোট কিন্তু বর্তমানে তা পুকুর সমান হয়ে পড়েছে। পুরো সড়ক খানা খন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফ পৌরসভার হাজার হাজার মানুষ ।যা এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো দুর্ঘটনায় ঘটেই চলেছে।
এই সড়কে গাড়িতে উঠলেই সৃষ্টি কর্তার নাম অনুসরণ করতে হয়। কখন যে গাড়ি উল্টে গিয়ে আহত, নিহত হয় তা বলা মুসকিল। ইদানীং রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে যে,কোন মুমূর্ষু রোগী এই সড়ক দিয় যানবাহন যোগে যাতায়াত করা একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে যাএী সাধারণ জানান, এ ছাড়া কোন গর্ভবর্তী মহিলা সন্তান প্রসবের জন্য জরুরী বিত্তিতে টেকনাফ সদর হাসপাতালে যানবাহন যোগে যাতায়াত করলে টেকনাফ পুরাতন বাস স্টেশন সড়কে উঠলে হাসপাতালে না যাওয়ার আগে বাচ্চা প্রসবের হওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়। স্হানীয়দের অভিমত। এ সড়ক দীর্ঘ দিন ধরে সংস্থার না হওয়ায় এই সড়ক মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কের উভয় পাশে ফুটপাথে বিভিন্ন দোকান পাট বসে মূল সড়ক কে সরু হয়ে পড়েছে, ফলে যান চলাচলের প্রতিনিয়ত প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা পর্যটন উপ শহর হওয়ায় দিন দিন যেমনটি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি যানবাহনে সংখ্যা বাড়ছে, পাশাপাশি মূল জন সংখ্যার ছাড়াও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সংখ্যা অত্যাধিক যা বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা আয়তনের ছেয়ে জনসংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি হয়ে পড়েছে। এদের যোগাযোগের এক মাএ মাধ্যম টেকনাফ কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়কের বেহাল অবস্থা হওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে গাড়ি অনেক যন্ত্রাঅংশ নষ্ট হয়ে যায় বলে গাড়ির চালক গণ জানান।
এই সড়ক সংস্কার বিষয়ে টেকনাফ পৌর সভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেন্ডার বলে জানান।
পরে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অনুমতি পেলে শীঘ্রই টেন্ডার দেওয়া হবে।
Leave a Reply