বিশেষ প্রতিবেদক:
ইয়াবার আশির্বাদে অল্প সময়ের ব্যবধানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে হঠাৎ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের উত্তর কানজার পাড়ার বাসিন্দা ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ।সে ইয়াবা সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে কারা ভোগ করেছে ।জামিনে বের হয়ে আবারো বেপরোয়া ভাবে জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে।কানজর পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল প্রকাশ কিয়ারা জলিল।সে ইয়াবা ব্যবসা করে অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যায়। এখন সেই আব্দুল জলিল নিজেকে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে অগ্রিম প্রচারণা শুরু করেছে ।তার প্রচারণা বাড়াতে গিয়ে নিজের ছবি দিয়ে দিন পুঞ্জিকা ছাপিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। এখন সে নিজে আগামী ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে এলাকাতে অতিরিক্ত প্রচারণা শুরু করে দেয়ার কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা ধরণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ।এলাকার মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নানান ধরণের প্রশ্ন ও কল্পনা জল্পনা ।তার বড় ভাই মাওলানা আবদু শুক্কুর প্রকাশ মলই শুক্কুরের বউ কানজর পাড়া এলাকায় ইয়াবা রাণী হিসেবে এক নামে পরিচিত।সেই ইয়াবাডন শুক্কুরের বউ। ইয়াবা রাণী আব্দুল জলিলের ভাবি হওয়ার সুবাদে দেবর ভাবি দুইজনই পার্টনার হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে এই মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসা করে এখন দেবর ভাবি দুইজন-ই কোটিপতির কাতারে।দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা বিক্রি করে জমানো কালো টাকা সাদা করতে জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আব্দুল জলিল,এমন মন্তব্যও করেছেন এলাকার অনেকে।আবার এদিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল ক্লাস থ্রী-ফোর পর্যন্ত লেখা পাড়া করেছে এবং হঠাৎ টাকার মিশন নিয়ে জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া হয়ে উঠার কারণে সচেতন মহলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ।
সচেতন মহলের দাবী এধরণের মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা জরুরী হয়ে পড়েছে।না হয় এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নেতৃত্বের চেয়ারে বসতে পারলে সমাজকে ধ্বংস করে দিবে এবং মনোনয়ন না দেয়ার জোর দাবি জানান ।
পুরো এলাকাকে মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করবে।সেই সাথে আগামী প্রজন্মকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবে বলেও মন্তব্য করেন সচেতন মহল।
এবিষয়ে আব্দুল জলিলের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ওসি প্রদীপ ১হাজার ইয়াবা দিয়ে তাকে মামলা দিয়েছিল এবং ষড়যন্ত্র করে সেটা করেছিল,সে ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত নয় বলেও জানান।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com