মোঃ শেখ রাসেল,টেকনাফ
মৌসুমেও দিগন্তজোড়া মাঠে লবণ উৎপাদনে ধুম পড়েছিল চাষিদের মাঝে। কিন্তু এবার খাঁ খাঁ করছে চিরচেনা সেই লবণ মাঠ। কক্সবাজার ও টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া ৫নং ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিনের লবণ মাঠ। লবণ চাষ বেশি হলেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিক্রি ও বাড়িতে জমিয়ে রাখতে পারছে না, কানজর পাড়া গিয়াস উদ্দিন, শ্রমিক ও আর্থিক সংকটের কারণে লবণ এর মাঠ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক লবণ চাষি। নেতাকর্মীদের অসহায় কৃষক ও চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় দলবেঁধে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে থেকে শুরু করে লবণের শ্রমিক না পাওয়ার ছাত্রলীগের কর্মীরা শ্রমিকের মত কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১ একলা মে ) সকালে উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া এলাকায় ৫নং ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিন নামে লবণ চাষি বিপদে পড়ে যায়, রাতে আশঙ্কার হয় বৃষ্টির তিনি শ্রমিকের না পাওয়া কানজর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস কে বলিলে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্নাকে জানালে মুন্নার নির্দেশক্রমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় লবণ চাষি গিয়াস উদ্দিনের লবণের মাঠে কানজর পাড়ার উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস এর নেতৃত্ব ২০/৩০ জন ছাত্রলীগের কর্মী নিয়ে লবণচাষিদের পাশে দাঁড়ালে প্রায় ৪০ মন লবণ তার বাড়িতে পৌছে দেন। শ্রমিকবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছাত্রলীগের জন্য নতুন কিছু নয় বলে মনে করেন দেশের প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির নেতারা।
লবণ চাষি গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘চলমান লকডাউনের কারণে আমি শ্রমিক খুবই বিপদে আছি, রাতে বৃষ্টির আশঙ্কা জনক, মাঠবড়া লবণ পড়ে আছে বর্তমান বাজারে আয়োডিন মিশ্রিত লবণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকায়। অথচ মাঠপর্যায়ে এক কেজি লবণের দাম মাত্র ৪ টাকার মতো। সিন্ডিকেটের পকেটে লাভ ঢুকলেও বঞ্চিত হয় আমরা চাষিরা। উৎপাদন খরচের অর্ধেকও দাম পাচ্ছি না। মাঠ থেকে এক কেজি লবণ উৎপাদন খরচ পড়ছে সাড়ে ৬ টাকা। লবণচাষিদের দুর্বল হয়ে পড়েছি একজন শ্রমিকে ৭০০ টাকা করে দিতে হয়, আমি শ্রমিকের জন্য বিপাকে পড়ে যায়।আমি তখন অসহায় হয়ে পড়ি,আমি ইউনুস কে বলিলে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আদেশক্রমে ২০/৩০ জন ছাত্রলীগের সদস্যরা লবণের মাঠ থেকে আমার ঘরে নিয়ে আসেন,আমি অনেক খুশি হয়েছি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন শেখ হাসিনাকে আরো হায়াত দান করে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করার পর সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক লবণ চাষিরা ও কৃষক সহ শ্রমিক সংকটে পড়েন।একদিকে বৃষ্টির আশঙ্কা জনক লবণের দাম কম পড়ায় এতে তারা ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েন। করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে আমাদের অভিভাবক চাষি ও কৃষি বান্ধব নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গতবারের ন্যায় এবারও এমন সংকটময় মুহূর্তে নিরুপায় অসহায় চাষিদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।
Leave a Reply