কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া বঙ্গোপসাগরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে বাহারছড়া শামলাপুর ১নং ওয়ার্ডের উত্তর ঘাট হতে ফিরে আসার সময় নৌকা ডুবি ঘটনা ঘটে। এ সময় একজন জেলে নিখোঁজ হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) মাছ ধরে ঘাটে ফেরায় সময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে আচারবনিয়া এলকার রোহিঙ্গা সালামত উল্লাহ মাঝি (৩৫) সাগর স্রোতে ভেসে যায়। সে ক্যাম্প-১৬ ব্লক-এ-৫.এর বাসিন্দা বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐ নৌকাতে ৬ মাঝি মাল্লা ছিল। এদের মধ্যে ৫ জন জেলে সাঁতার কেটে উপকূলে চলে আসলেও মাঝি সালামত উল্লাহ প্রচন্ত স্রোতে ঢেউতে ভেসে যায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান মেলেনি।
নৌকা টি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলা পুর এলাকার আঁচার বনিয়া গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মোঃ জোবাইর এর বলে জানা যায়।
জেলে ঘাটে কমিটির দায়িত্বে থাকা এক সদস্য প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন নিখোঁজ পর থেকে সাগরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিভাবে এসব নৌকা নিয়ে রোহিঙ্গা মাঝি-মাল্লারা কিভাবে সাগরে মাছ শিকারে যায় বলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানায়,সাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণ ২০ মে হতে বন্ধ শুরু হয়েছে যা আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময়ে কোন জেলে সরকারি নির্দেশ মাছ আহরণ করতে গেলে তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্তা গ্রহনের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা ঢিলেঢালা হওয়ায় টেকনাফ উপজেলা ৪৪ টি জেলা ঘাট দিয়ে রাতের বেলায় সাগরে মাছ আহরণ অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এ ব্যপারে রাতের বেলায় সাগরে মাছ আহরণকৃত কয়েকজন জেলেদের সাথে আলাপ করা হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান মৎস্য অফিসে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা দের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মাছ আহরণ করি।
এ বিষয়ে উপজেলা সিঃ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি জানান সাগরে মাছ আহরণ অবস্থা অথবা উপকূল মাছ সংগ্রহের সময় আমি আটক করতে পারি। এছাড়া সাগরে রোহিঙ্গা মাঝি মাল্লা মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে কিন্তু আমার অগোচরে গত দুদিন আগে ৩ নং সংকেত সময় ২ টি নৌকা সাগরে মাছ আহরণ করতে যায়। তমধ্যে একটি চলে আসলেও একটি ডুবে যায়। বলে শামলা পুরের জেলে সমিতির লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। গত কাল নৌকা ডুবির ঘটনায় এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে আমি জানার পর ঐ নৌকার মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আলোচনা চলছে।