আমিরুল ইসলাম রাশেদ ,পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় যৌতুকের টাকার জন্য মর্জিনা নামে ১সন্তানের জননী, তিন মাসের অন্তঃ সত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষান্ড এক স্বামীর বিরুদ্ধে।
(২৪ জুন)বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মর্জিনা আক্তার (২১) নতুনঘোনা এলাকার দিদারুল ইসলামের স্ত্রী। শুক্রবার ভোররাতে পেকুয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সকাল ১১ টার দিকে স্বামী দিদারুল ইসলামকে আটক করা করেছে। দিদার নতুনঘোনা এলাকার মানুনুল হকের ছেলে।
জানা যায়,বৃহষ্পতিবার বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শ্বাশুরবাড়িতে চলে যায় মর্জিনা। তিনদিন আগে মর্জিনা বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাত ১২টার দিকে দিদার মর্জিনা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ছে বলে মুঠোফোনে কল করে শ্বশুরকে । তাঁরা উজানটিয়ায় গিয়ে দেখে মেয়ের নিথর দেহ। গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
মেয়ের পরিবার,জানায়,"কয়েক মাস পর থেকে যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালাতো স্বামী ও শ্বাশুরী। মেয়ের সুখের জন্য কয়েকদফা টাকাও দিয়েছিল। কয়েক মাস আগে মেয়েকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়ভাবে বৈঠকও হয়েছে অনেকবার। বৃহষ্পতিবার বিকেলে স্বামী ও পনের মাস বয়সী লাবিবকে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে গেছে। এ সময় দিদার ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করেছিল।
দিদারুল ইসলামের জেঠা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,মর্জিনা অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।
মর্জিনার স্বজন গিয়াস উদ্দিন বলেন, অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে মর্জিনার পিতার সাথে আমিও যাই। গিয়ে দেখি মর্জিনার পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। আমার ধারণা নিশ্চিত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার জানায়,মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত এজাহার দেয়নি। স্বামী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com