নিজস্ব প্রতিবেদক,টেকনাফ ৭১
করোনার পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাট কতটুকু জমবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে এসব দুশ্চিন্তা পাশ কাটিয়ে টেকনাফে পশুর হাটে এবার বড় তারকা হিসেবে আলোচনায় রয়েছে ‘কালা চান’। কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে বলে ধারণা স্থানীয় খামারিদের, সঙ্গে আছে ‘কালা চান’। এই গরুই সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হবে বলে ধারণা তাদের।
“কালা চান “ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা ৬ফুট, ওজন ১৬মণ। কালো রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির নাম বিক্রির জন্যই কেবল দেওয়া হয়েছে “কালা চান”।
রবিবার (৫ জুলাই) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা খামারি তারেক মাহমুদ রনির খামারে এই ষাঁড় গরুটির দেখা মিলে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশি ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরুগুলো দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটাতাজা করেছেন তিনি। এছাড়া তার আরও মহিষ,গরু,ও উন্নত জাতের শখানেক ভেড়া রয়েছে।
খামারি তারেক মাহমুদ রনি জানান, ‘কালা চান ‘খুব শান্ত স্বভাবের গরু। ওর কোনও রাগ নেই। কারও দিকে তেড়েও আসে না। অনেক বছর ধরে আমি গরুর খামার করছি। ৪ বছর আগে লাখ টাকায় কালা চানকে কিনি। ইতোমধ্যে ‘কালা চান’ দাম পাঁচ লাখ দাম উঠেছে। তবে ৪লক্ষ ৫০হাজার হলে দেবেন বলে জানান তিনি।
তারেক মাহমুদ রনি আরও জানান, প্রতিদিন দুই বেলা ১০ কেজি করে খাবার খায় কালা চান। এরমধ্যে রয়েছে ভাত, গমের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভাতও খায়। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার খাদ্য লাগে কালা চানের জন্য। কোনও ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়েছি। এবারে কোরবানির বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েকটি ইংরেজি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে ” কালা চানকে” দেখতে প্রতিদিনই লোকজন খামারে ভিড় করছেন। গরু দেখতে আসা মোঃ ফিরোজ বলেন, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এত বড় গরু আর নেই।
খামারি তারেক মাহমুদ রনি খামারিদের উদ্দেশ্য বলেন এই রকম খামার করলে অনেক লাভবান হতে পারবে। কালাচান কে ক্রয় করলে চাইলে নিম্নের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।
কোরবানের ঈদে বিক্রয় করা হবে।
কালা চান
ওজন ১৬+ মন
বয়স ৪ বছর
দাম ৪ লক্ষ ৫০ হাজার
নাফ এগ্রো ফার্ম হ্নীলা
01715569870
Leave a Reply