
মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
কয়েক দিনের প্রবল বর্ষনে টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনির ঘোনায় পাহাড় ধ্বসে রকিম আলী নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজনদেরকে সরে নিয়ে আসছে। তাদের উপজেলা সংলগ্ন সরকারি এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উক্ত আশ্রয় কেন্দ্রে ৮০/৯০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) আজ সকাল হতে উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের এবং পৌরসভার নিম্মাঞ্চল থেকে সরে এসে স্ব স্ব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান।
তিনি বলেছেন সকালের প্রবলবর্ষনে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বৈদ্যর ঘোনা ও ফকিরা মোরা,নুর আহমদ ঘোনাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বস হয়েছে।
উক্ত এলকার লোকজনদেরকে সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক কর্মিরা সরিয়ে এনে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যায় প্রবলিত এলাকর লোকজনদের সরিয়ে এনে আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার দাবারের ব্যবস্থা করানোর জন্য স্ব স্ব ইউনিয়নের সিপিপি লিডারদেরকে অনুরোধ করেছে বলে উপজেলা সিপিপি’র কর্মকর্তা আব্দুল মতিন।
এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ চৌধুরী জানান, প্রবল বর্ষনের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদেরকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। উপজেলা পরিষদে কন্ট্রোল রোম খোলা হয়েছে। যা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। এর পাশাপাশি সরকারি এজাহার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে নিম্মাঞ্চলের লোকজন ও পাহাড়ি এলাকর লোকজনদেরকে সরিয়ে এনে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ নিহত ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ এরফানুল হক চৌধুরীসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান, বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
Leave a Reply