জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষ্যছড়ি,
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া টু নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্ত সড়ক নারিকেল বাগান পয়েন্টে মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে নদীর পেটে বিলীন হতে চলেছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজার হইতে-নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ও সীমান্তের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে উপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এ সড়কের নারকেল বাগানস্থ দৌছড়ি খালের ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গণের কবলে পড়ে নদীর দক্ষিণ কুল এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। ঝুকিপূর্ণ এসব এলাকার বসতবাড়ি যেকোনো মুহুর্তে নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই দ্রুত সংষ্কারের দাবী এলাকাবাসীর।
ওই এলাকার তরুণ সমাজ সেবক রেজাউল করিম টিপু জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নে সীমান্তরক্ষী বিজিবির ৬ টি বিওপি ক্যাম্প রয়েছে। ওই ক্যাম্পে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। উক্ত সড়ক দিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত আছেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এ সড়ক দিয়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সীমান্ত সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার ফলে সীমান্ত সুরক্ষার নিয়োজিত বিজিবিসহ লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় প্রবিণ মুরব্বি মাষ্টার আহমদ আলী জানান, সড়কটি টেকসই উন্নয়ন না করায় প্রতি বছর পড়তে হয় ভাঙ্গনের কবলে। গত তিন বছর ধরে বর্ষা আসলেই এমন অবস্থা হয়। তিনি এবার হলেও দীর্ঘ মিয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী টিপসই উন্নয়নের দাবী জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শাহ মোঃ আব্দুল আজিজ আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এলজিইডি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।তিনি দ্রুত নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাইল নোমান জানান, নারিকেল বাগানস্থ খালের ভাঙ্গনের কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে পাশ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ। এ ব্যাপারে তিনিও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
রামুর ইউএনওর নির্দেশে রামু উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন খানঁ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ভাঙ্গন এলাকা সার্ভে করে উর্ধ্বধন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যেন দ্রুত কাজ শুরু হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com