টেকনাফ ৭১ ডেস্ক,

আমাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অধীনে বর্তমানে ৪০ হাজারের অধিক কোভিড-১৯ এর আরেদন জমা পড়েছে।
প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ জন লোক আবেদন করেছেন। এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের মতো টীকা প্রদান করেছি।

সুতরাং আবেদন করুন, কোনো অসুবিধে নাই, কিন্তু আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ তা হলোঃ- আবেদনের পরপরই শত শত মোবাইল ফোন এবং শতশত প্রশ্ন, শতশত জবাব দিহিতা।

যেমনঃ
১). স্যার আমি আবেদন করেছি অনেক দিন হলো এখনো এসএমএস পাইনি, আমাকে একটু টীকা প্রদানে ব্যবস্হা করুন।
২). স্যার আমার আবেদনের পরে যারা আবেদন করেছে তারা এসএমএস পেলো, কিন্তু আমার আসেনি। তাহলে আমি কি আপনার অফিসে আসবো??
৩). কেউ কেউ আরো বিরুপ মন্তব্য করে থাকেন।

আপনাদের সকলের জবাব সমূহঃ

প্রথমেই বলে নিই, আপনি আবেদন করেছেন কিভাবে?? অনলাইনে, তাইতো?? ওকে আপনার সিডিউল টা ঠিক করতে হয় আমাদের।
আমরা যদি ১০ হাজার জনকে ফেলে আপনার অনুরোধে একটা সিডিউল করি তাহলে পূর্বের ১০ হাজার জন আপনার কারণে টীকা নিতে বন্ঞিত হলো। তাহলে, ওনারা আরো দেরিতে চলে গেলো।
কারণ সফটওয়্যার আমরা তৈরি করেনি, ওটা আইটি মন্এনালয়ের কাজ।
সুতারাং আপনার একটা ছোট্ট অনুরোধে পূর্বে অটোমেটিক ভাবে সিডিউল পাওয়া লোক গুলো দিনের পর দিন ঝুলে থাকলো।
বুজতে হবে আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি চাইলে আজকে একসাথে ১০ হাজার জনের টীকা প্রদান করতে পারি না। আমরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০০ জনের সিডিউলের জন্য অনুরোধ পাঠায়।
তারপরও আপনারা যারা পূর্বেই এসএমএস পেয়েছেন, কিন্তু সময় মতো টীকা গ্রহন করেন নি। ওনারাও নিয়মিত সিডিউল/ এসএমএস পাওয়াদের সাথে টীকা নেওয়ার জন্য দাড়িয়ে যান।
তারপরও সীমাবদ্ধতা থাকার পরও আপনাদেরকে আমরা ফেরত দিই না। যতজন টীকা কেন্দ্রে উপস্হিত হোন সকলকেই টীকা প্রদান করার চেষ্টা করি।

আমাদের শত ব্যস্হাতার মধ্যেও আপনাদের শতশত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে থাকি।
আপনারা জানেন, দৈনিক ৫০০ জনের অধিক আউটডোরে সেবা নিতে আসেন, ফ্লু কর্ণারে দৈনিক ৫০-৬০ জন স্যাম্পল দিতে আসেন, ৫০০-৬০০ জন দৈনিক টীকা নিতে আসেন, এছাড়াও আমাদের আইসোলেশন সেন্টারে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সেবা চলছে। ইনডোরে সকল ধরণের রোগীরা ভর্তি থাকেন, দৈনিক অপারেশন করা হচ্ছে।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে যতগুলো সেবা থাকার কথা তার থেকে অনেক অনেক বেশী সেবা আপনাদের জন্য চলমান রেখেছি।
আমাকে মাঠ পর্যায়ের সকল কার্যক্রমও দেখতে হয়। টেকনাফ উপজেলায় যত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদেরও স্বাস্থ্য সেবা দেখতে হয়।
সকল মিটিং এ অংশ গ্রহন করতে হয়। সার্বক্ষনিক দৌড়ের মধ্যেই থাকতে হয়। আমাদের হাসপাতালের সকল সেবা সমূহ পরিচালনা করার জন্য আলাদা আলাদা টীম গঠন করে দিয়াছি। তারপরও আপনাদের যেকোনো ফোনের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। এর মধ্যেও জাতীয় কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করতে হয়।

সুতারাং আপনাদের কাছে আমার/ আমাদের বিনীত অনুরোধ, এসএমএস পাওয়ার পূবেই টীকা প্রাপ্যের জন্য আর অনুরোধ করবেন না। তথ্য মন্এনালয় আপনাদের তথ্য সঠিক সময়ে জানিয়ে দিবে। ধর্য্য ধরুন
পর্ষায়ক্রমে সকলকে টীকা দেওয়া হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাএ।

অনুরোধক্রমে ::
টেকনাফ স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে :
ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
টেকনাফ, কক্সবাজার।