মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ ৭১
টেকনাফের সীমান্ত উপজেলার ১নং হোয়ইক্যং ইউনিয়ন এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের সাথে লাগোয়া। পালংখালী ব্রীজ পার হলেই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী ও উলুবনিয়া ষ্ঠেশন। এর ভৌগলিক অবস্থান হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তরে উখিয়া উপজেলার দক্ষিণে হ্নীলা পশ্চিমে বিস্তীর্ন পাহাড় এবং পূর্বে মিয়ানমারের (রাখাইন) আরকান রাজ্য এবং নাফ নদী। হোয়াইক্যং উলুবনিয়া ষ্টেশন থেকে পূর্বে প্রায় ৩ কিলোমিটার উলুবনিয়া হারাংগ্যা ঘোনা ও তুলাতলী। এ ৩টি পাড়া মিয়ানমার সীমান্তের নাফনদীর তীরে। এখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এ কারণে আইন শৃংখলা বাহিনী মাদক ও অপরাধ দমনে সহজে যাতায়াত করতে পারে না। বিধায় প্রত্যান্ত এলাকা উলুবনিয়া, হারাগ্যা ঘোনা ও তুলাতলীতে চলচে মাদক ও রোহিঙ্গা আদমের রমরমা বানিজ্য। এ বানিজ্য করে স্থানীয়রা বনে গেছেন, বিপুল কালো টাকার মালিক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফে মাদক বিরোধী অভিযান এবং বন্দুকযুদ্ধে চলমান থাকার পর ও টেকনাফের উত্তরাঞ্চলে মাদক প্রবেশের ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যায়। যাহা আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে মাদক উদ্ধার প্রমান করে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন হচ্ছে, এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য। কেননা এ দুই ইউনিয়নে বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বসতি এবং পাহাড় হচ্ছে নিরাপদ স্থান। এ সুযোগে ওরা মাদক স্বর্ণ ও রোহিঙ্গা ব্যবসাকে নিরাপদ মনে করে স্থানীয় প্রভাব শালীদের হাত মিলিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরাঞ্চল উলুবনিয়া ও কাটাখালী, হারাগ্যা ঘোনাও তুলতলী বর্তমানে মাদকের স্বর্গরাজ্য বললেই চলে এবং এখানে বাঘা বাঘা মাদককারবারী ও মানব পাচারকারী পর্দার অন্তরালে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবস্থান করছে। যদিও মাদক তালিকায় ওদের নাম না থাকলেও দিব্রি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে আইন শৃংখলা বাহিনীর মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় মাদক কারবারীদের পোয়াবারু চলছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রোহিঙ্গার নেতৃত্বে উলুবনিয়ায় মাদক ও রোহিঙ্গা বানিজ্য চালিয়ে ওরা কালো টাকার পাহাড় বনে গেছেন। এ তথ্য কিন্তু সরকারী গোয়েন্দা নজরে না থাকলেও সচেতন মহলের মধ্যে রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, উলুবনিয়া ও হারাগ্যা ঘোনার প্রায় ৩৫ জন তালিকাভূক্ত মাদক কারবারীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর চলমান মাদক বিরোধী অভিযান এবং বন্দুকযুদ্ধ বাচঁতে ওরা উলুবনিয়া সীমান্ত বরাবর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। সূত্রে জানায়, ওরা সেখানে চিংড়ি চাষের অঘোশিত ভাবে অনুমতি নিয়ে মাদক পাচার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বলে যাচ্ছে। উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত এবং প্রতিনিয়তই রোহিঙ্গা আসা যাওয়া করছে এবং সেই সাথে মাদক ব্যবসার মহৌৎসব চলছে। রোহিঙ্গা ও চৌকিদার এবং বির্তকিত ক্ষমতাসীন দলের নেতার আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে চলছে মাদক ব্যবসা ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। ওদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে এলকার সচেতন মহল মনে করেন। অন্যতায় মাদক ও রোহিঙ্গা দমন করা যাবে না।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, মাদকের সাথে যেই দলের লোক হউক না কেন? অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং মাদক হচ্ছে সকল অপকর্ম ও অশীলতার মূল। এ ছাড়া মাদকের কারণে নানা অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এর সাথে পুলিশ আপস করবে না এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার পুলিশ জিরো টলারেন্স এর মধ্যে রয়েছে। চলবে …………
Leave a Reply