সাদ্দাম হোসাইন,হ্নীলা : টেকনাফ টাইমস
টেকনাফের হ্নীলার বিভিন্ন এলাকায় নতুন পুরাতন ইয়াবা কারবারী মিলে জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা চালানোর জন্য গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সিনহা কান্ড পরবর্তী সময়ে ইয়াবা বিরোধী অভিযান জোরদার না থাকায় নবীণ-প্রবীণ মিলে এই ব্যবসা আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীরা সহজে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে প্রকাশ। এসব সিন্ডিকেটসহ সকল মাদক কারবারীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে এলাকা থেকে মাদক কারবারীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবেনা। আশংকাজনক হারে মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি হলেও উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় সচেতন সমাজের মাঝে এক ধরণের হতাশা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে পালিত উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী বোরহান, আবু তাহের,ডিলার মীর কাশেমসহ সিন্ডিকেটের বাকী সদস্যদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,লেদার মৃত নুরুল ইসলাম মেম্বারের পুত্র বোরহান উদ্দিন আত্মস্বীকৃত এক ইয়াবা কারবারী। শীর্ষ এই কারবারী জামিনে বেরিয়ে এসে লেদা-জাদীমুরা কেন্দ্রীক একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট তৈরী করেছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। নতুন পুরাতন মিলে সিন্ডিকেটটি বেশ শক্তিশালী বলে জানাগেছে। তারা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ন্যাচারপার্ক সংলগ্ন বোরহানের মালিকানাধীন প্রজেক্ট ব্যবহার করে ইয়াবার চালান এনে হ্নীলার বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করছেন। এক সময়কার জীপ ড্রাইভার বোরহান এখন বড় এক শিল্পপতি। বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাইফুল করিমের প্রধান এজেন্ট খ্যাত বোরহান কয়েকটি ব্রিক ফিল্ডের মালিক। ইটভাটা, গাড়ী-বাড়ির মালিক হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও এই কারবারী ইয়াবা ব্যবসা ছাড়তে পারছেনা। ক্রসফায়ারের ভয়ে শেষের দিকে আত্মসমর্পণ করে জীবনে বাঁচলেও এই অসাধু অবৈধপথে টাকা আয়ের নেশা এখনো যেন ছাড়তে পারছেনা। নাফনদীর কূল ঘেষে দমদমিয়াস্থ তার মালিকানাধীন মাছের প্রজেক্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ইয়াবা নিয়ে আসছে তার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। নিরাপদ ব্যবসা প্রসারের জন্য সুচতুর এই কারবারী সিন্ডিকেটভুক্ত করেছেন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী লেদার আবু তাহের, তার শ্যালক পারভেজ, খালাত ভাই তোফাইল, মুচনীর ইয়াবা শওকত আলী, জাদিমুড়ার পিচ্ছি করিম,লেদা ক্যাম্প এলাকার গবির পুত্র ইয়াবা ডিলার মীর কাশেম।
সিন্ডিকেটভাবে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী মুচনী এলাকার শওকত আলী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চালের ব্যবসা ও হার্ডওয়্যারের দোকান করে আসছি। এই কারবারী ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী বোরহান বলেন,প্রমাণ থাকলে নিউজ করে দেন। তবে বিভিন্ন সময় আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে এই কারবারী ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন।
সিন্ডিকেট করে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের অপর সদস্য তোফাইল জানান, ভাইজান অনেকে অনেক কথা বলবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন তো ইয়াবা ব্যবসা সহজতর হয়েছে। কে করে কে করেনা বলাও মুশকিল। তবে তিনি শত্রুপক্ষের নাম জড়িয়ে অপ-প্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবী করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ আব্দুল আলিম,মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে বলেন, নতুন-পুরাতন কোন মাদক কারবারীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ইয়াবা নির্মূলে তিনি পুলিশ আন্তরিক দিয়ে কাজ করছেন বলে জানান। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জানতে চাইলে র্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার বলেন,আত্মস্বীকৃত হোক বা যেই হোক। ইয়াবা ব্যবসায় জড়িতদের রক্ষা নেই।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com