মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে দীর্ঘদিন ধরে নতুন মোবাইল সিম ক্রয়-বিক্রি বন্ধ থাকলেও কিন্তু পানের দোকানেও মিলছে অবৈধ সিম। এই অবৈধ সিম ক্রয় করে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় যুব সমাজ, রোহিঙ্গা ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।
সুত্রে জানা যায়,গত ২০১৭ সালে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকগণ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এদেরকে বাংলাদেশ সরকার ও জাতীসংঘ শরনার্থী সংস্থা বিভিন্ন স্থানে শিবির নির্মাণ করে বসবাসের সুযোগ প্রদান করেন। কিন্তু ঐ শিবিরের কতিপয় সন্ত্রাসী গ্রুপ বাংলাদেশী মোবাইল সিম নিয়ে জঙ্গি,সন্ত্রাস, মাদক, হুন্ডি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ফলে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির সহ উখিয়া-টেকনাফে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গেলে সরকার গত-২০১৮ সালে টেকনাফ উখিয়ায় সকল মোবাইল কোম্পানির সিম বিক্রি বন্ধ করে দেন। এমনকি রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ক্রয় করা সকল রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সিম বন্ধ করে দেন। এতে শরনার্থী রোহিঙ্গারা পড়ে যান বিপদে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উখিয়া-টেকনাফের কতিপয় মোবাইল কোম্পানির এজেন্ট, মোবাইল বিক্রির দোকান, বিকাশের দোকান, নামে বেনামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিম বিক্রি করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই সিম টেকনাফ ও উখিয়ায় অহরহ বিক্রি হওয়ায় এলাকায় অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। এই অবৈধ সিম নিয়ে রোহিঙ্গা,স্থানীয় ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী বেপরোয়া ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি জঙ্গি, সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা শিবিরের ডাকাতগণ এই অবৈধ সিমের মধ্যমে অপরাধ জগতের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে এলাকায় অপরাধ করে যাচ্ছে। ফলে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে প্রতিনিয়ত খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, চুরি,ডাকাতি,ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসাসহ নানা অপরাধ বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী'র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান আমি উক্ত অবৈধ সিমের বিষয়ে শুনেছি, এ থাকা থানা পুলিশের সাথে কথা বলে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com